CAA কার্যকর করতে নতুন বছরে ভগবান ভরসা শুভেন্দু

আইন পাশের পর প্রায় সাড়ে ৩ বছর কাটলেও দেশে এখনো লাগু হয়নি CAA. যা নিয়ে বেজায় চাপে রয়েছেন বিজেপি নেতারা। এই আইনের অধীনে কবে নাগরিকত্ব পাবেন রাজ্যের মতুয়াসহ নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের অন্যান্য মানুষ? সেই প্রশ্ন উঠছে বারবার করে। এরই মধ্যে নতুন বছরে CAA লাগু করার দায়িত্ব ঠাকুরের ওপর ছেড়ে দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার বছরের শেষ দিনে নদিয়ার ধানতলায় মতুয়াদের এক সমাবেশে শুভেন্দুর মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে আলোচনা।

এদিন মতুয়াদের পতাকার তলায় আয়োজিত শুভেন্দুর সভার মেজাজ ছিল টান টান। সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ‘আজ বছরের শেষ দিনে সব ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি, আগামী কাল কল্পতরু উৎসব। ২৩ সালে আমাদের CAA কার্যকর করে দেও। আমরা যেন বাতাসা হরির লুঠ করে ডঙ্কা বাজিয়ে আবার বিজয় সমাবেশ করতে পারি’।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় বলেন, কীসের নাগরিক অধিকার? আমরা তো সবাই নাগরিক। আলাদা আবার নাগরিকত্ব কোথায়? তাহলে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে ৭১ সালের আগের দলিল চাওয়া হয় কেন? এই অপমান আমরা মেনে নিতে পারব না’।

শুভেন্দুর মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বাম ও তৃণমূলের দাবি, CAA লাগু হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালে। এখনো তা লাগু হল না কেন? আসলে এই আইন কার্যকরের কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের। আইন পাশ করা হয়েছে কিছু মানুষকে ভয় দেখাতে। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বাসিন্দা পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক।