টি-টেনের অভিজ্ঞতা বিপিএলে কাজে লাগাতে চান মৃত্যুঞ্জয়

কিছুদিন আগে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত টি-টেন লিগে বাংলা টাইগার্সের হয়ে খেলে এসেছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ওই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে বোলিং করেছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন বলে জানালেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে এসব কথা বলেন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই পেসার।

বাংলা টাইগার্সের হয়ে দুই ম্যাচ খেললেও খুব ভালো করতে পারেননি মৃত্যুঞ্জয়। এক ম্যাচে ২ ম্যাচ খেলে ১ উইকেট ও ১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। তবে ভালো না করলেও টুর্নামেন্টে আমিরের সঙ্গে কাটানো অভিজ্ঞতা বিপিএলে কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন এই পেসার, ‘গত একমাস আগে আমি টি-টেন খেলতে গিয়েছিলাম। আমি বলবো, এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত যে, এত সুন্দর জায়গায় খেলতে পারলাম। আর অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমার পুরো ক্যারিয়ারে ওই একমাস ছিল সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা। আমি বিশ্বমানের বোলার আমিরের সঙ্গে ছিলাম, সাকিব ভাইয়ের খুব কাছে ছিলাম এবং বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের আমি কাছ থেকে দেখেছি। সে হিসেবে আমি বলবো, আমার ২-৩ বছরের অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি ইনশাআল্লাহ এটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো।’

আামিরের কাছ থেকে কী ধরনের টিপস নিয়েছেন সেই প্রশ্নে মৃত্যুঞ্জয় বলেছেন, ‘তিনি আমাকে অনেক বড় কোনও টিপস দেননি, কিন্তু ছোট ছোট যেগুলো বলেছেন— সেগুলো আমার প্রয়োজন ছিল। আগে যেসব লিগ খেলতাম সেখানে এক-দুইটা ভুল করলে সমস্যা ছিল। কিন্তু টি-টেনে আমি যখন প্রথম দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছিলাম, ছোট ছোট কিছু ভুল আমাকে ভোগাচ্ছিল। এরপর আমির ভাই আমাকে ছোট ছোট কিছু টিপস দেন, যা আমাকে খুব সাহায্য করে। আর শেষ ম্যাচটা আমি মনে করি, আমার জন্য খুব ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। এগুলো বিপিএলে আমাকে সাহায্য করবে।’

বাংলাদেশ দলে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের ঘাটতি প্রকট। নানা সময়ে নানাজনকে দিয়ে চেষ্টা করার পর সাইফউদ্দিন আশার আলো দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু অফফর্ম ও ইনজুরিতে চেনা ছন্দে নেই তিনি। ‍মৃত্যুঞ্জয় পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংটাও করতে পারেন। গত বিপিএলেও ভালো ব্যাটিং করেছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

মৃত্যুঞ্জয় নিজেও স্বপ্ন দেখেন ভালো একজন অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার, ‘আমার স্বপ্ন আমি একজন ভালো অলরাউন্ডার হবো। বিশ্ব ক্রিকেটে দেখলে স্টিভ স্মিথের কথা বলতে পারি। শুরুতে বোলার ছিল, কিন্তু তার কঠোর পরিশ্রমের কারণে তিনি ব্যাটসম্যান হয়ে গেছেন। হয়তো এখন আমি বোলিংয়ে ভালো, তবে ব্যাটিং আমি সবসময় চালিয়ে যাই৷ হয়তোবা কোনও এক সময় আমার ব্যাটিং ক্লিক করবে, আমি যেটা চাচ্ছি সেটা হবে।’

মৃত্যুঞ্জয় আরও যোগ করে বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে সুযোগটা খুব কমই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার যতটুকু সুযোগ… ১০ বল হলে এই ১০ বলকে কাজে লাগিয়ে যেন দুই-তিনটা ছক্কা মারতে পারি। পাকিস্তানের আসিফ আলি আছেন, তিনি কিন্তু ওই জায়গাটায় ফিক্সড। আমিও চাচ্ছি টি-টোয়েন্টিতে এমন কিছু করতে।’