Mamata Banerjee during party meeting: প্রজাপতি বিতর্কের মধ্যে মমতার মুখে উঠল দেবের নাম, বার্তা থাকল নুসরত-মিমির জন্যও!

সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, আর তারপরে লোকসভা. এই দুই নির্বাচনের লক্ষ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দলের সাংসদ–বিধায়করা আরও বেশি করে দলকে সময় দিক। সোমবার নজরুল মঞ্চের সভা থেকে সেই বার্তায় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দলের বিধায়ক–সাংসদদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন দলকে সময় দেওয়াটা বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে তারকা, ক্রিকেটার এবং অসুস্থ জন প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড়ও দিয়েছেন মমতা। এছাড়াও, আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল। সেখানে বেশ কয়েকজন তারকা সাংসদ–বিধায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্ত তারকা সাংসদদের ছাড় দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, লোকসভার সাংসদ নুসরত জাহান, মিমি চক্রবর্তী এবং দেব। মমতা নিজেই বলেছেন, ‘দেব, নুসরত, মিমি ওরা ফিল্ম টিল্ম করে। তাই ওদের একটু ছাড় দিবি।’ তবে সম্প্রতি দেবের ‘প্রজাপতি’ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মমতা।

এ প্রসঙ্গে তিনি জুন মালিয়ার প্রশংসা করেছেন। মেদিনীপুরে তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া দলকে সময় দেন বলেই শোনা যায় মমতার মুখে। তবে আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা সময় না দিলেও আগামী নির্বাচনে তাঁকে কাজে লাগানো হবে বলেই মমতা স্পষ্ট করেন। তবে ছাড় দেওয়া হয়নি বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে। তাঁকে দলে সময় দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার বীরভূমের তিনবারের সংসদ শতাব্দী রায়, পরিচালক ও বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং অভিনেতা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীকে আবশ্য ছাড় দেননি মমতা। তিনি এই সমস্ত তারকা জনপ্রতিনিধিদের ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচির জন্য কাজে লাগাতে চাইছেন।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতাদের একাংশের মতে, যেহেতু দেব, নুসরত, মিমি বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন তাই তাঁদের কর্মসূচিতে কাজে লাগাতে চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, হাওড়ার শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারিকে ছাড় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসুস্থতার কারণে ছাড় পেয়েছন মথুরাপুরের সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া। 

দলের অনেকেই মনে করছেন নন্দীগ্রাম যেহেতু তৃণমূলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহমকে কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল। সে কারণেই তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে আগামী দু’মাস বিশেষ কর্মসূচি চালাবে তৃণমূল কংগ্রেস। যার মূল লক্ষ্য হল জনসংযোগ বাড়ানো। এই কর্মসূচির নাম হয়েছে দেওয়া হয়েছে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ।’