Star Footballer Shymal Ghosh Dies Age 69 Due To Heart Attack


কলকাতা: চলে গেলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সত্তরের স্বর্ণযুগের এক নক্ষত্র শ্যামল ঘোষ (Shymal Ghosh)I মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মঙ্গলবারই (৩ জানুয়ারি) রাত ন’টা নাগাদ এক বেসরকারি হাসপাতালেই পরলোক গমণ করলেন তিনি। খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ বুকে ব্যথা হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় তাঁর।

সাফল্যের খতিয়ান

ময়দানের দুই প্রধানের হয়েই কৃতিত্বের সঙ্গে স্টপার পজিশনে খেলেছেন শ্যামল ঘোষ। তবে মূলত ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) হয়ে তাঁর খেলার সময়কালই বেশি স্মরণীয়। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি লাল হলুদ জার্সিতে খেলেন, অধিনায়ক ছিলেন ১৯৯৭ সালে। ১৯৯৩ সালে সামলে ছিলেন ক্লাবের প্রশিক্ষকের দায়িত্বও। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁকে ২০১৬ সালে জীবনকৃতী সম্মানে সম্মানিত করে। লাল হলুদের পাশাপাশি বাংলাকে খেলোয়াড় হিসাবে তিনবার সন্তোষ ট্রফিও জিতিয়ে ছিলেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। জাতীয় দলের হয়ে খেলার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর।

বাইচুংয়ের আবিষ্কারক

প্রসঙ্গত, শ্যামল ঘোষকেই ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়ার আবিষ্কারক বলা হয়। তিনিই বাইচুংয়ের প্রতিভার প্রতি আস্থা রেখে সর্বপ্রথম তাঁকে বড় ক্লাবের হয়ে সুযোগ দেন। বাকিটা ইতিহাস। নিজের প্রাক্তন কোচের প্রয়াণে স্বাভাবিকভাবেই শোকাহত বাইচুং। দীর্ঘদিন হৃদরোগের সঙ্গে লড়াই চলছিল শ্যামল ঘোষের। বুকে স্টেন্ট-ও বসেছিল। তবে তা সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপন চলছিল। কিন্তু হঠাৎই মঙ্গলবার বিকেলে বুকে ব্যথা শুরু হয়। এরপরে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

 

শ্যামল ঘোষের মৃত্যুর খবর পেয়ে ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকাররা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় তথা কোচের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপনও করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: আবারও কামব্যাক! পুরনো পদে ফিরতে চলেছেন সৌরভ?