VLTD in transport: বেসরকারি বাসে GPS বসানো নিয়ে পরিবহণ সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক, হল না কোনও সিদ্ধান্ত

আগামী মার্চের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি পরিবহণগুলিতে ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি) বসানো বাধ্যতামূলক করেছে পরিবহণ দফতর। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই যন্ত্র বসানো না হলে দৈনিক ৫০ টাকা করে জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। এনিয়ে পরিবহণ দফতর, বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনের প্রধান এবং ভিএলটিডির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তবে বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে এই যন্ত্র বসানো নিয়ে আপাতত সময় সময় বাড়ল না।

এর আগে পরিবহণ দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে গত ডিসেম্বরের মধ্যে এই যন্ত্র বসানো বাধ্যতামূলক করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনের চাপে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে রাজ্য পরিবহণ দফতর। পরে সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করে দেওয়া হয় এবং ১ এপ্রিল তা কার্যকর করার কথা জানানো হয়েছে। গাড়িতে এই যন্ত্র লাগানো না হলে সেক্ষেত্রে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যেমন দেওয়া হবে না, তেমনি দৈনিক ৫০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণ দফতর। তাতেই আপত্তি জানিয়েছিলেন বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলি।

এদিন বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ৮টি বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনের নেতারা। তাঁদের দাবি, ভিএলটিডি লাগানোর জন্য রাজ্যে উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। তাছাড়া নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ভিএলটিডি বসাতে গেলে সে ক্ষেত্রে পরিবহণ পরিষেবা ব্যহত হতে পারে। তাই ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় গাড়িতে এই যন্ত্র বসানো হোক। এরফলে কিছুটা সময়ও পাবেন তাঁরা। তবে শেষমেষে এদিনের বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে জানানো হবে।

যদিও ভিএলটিডি লাগানোর ক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে কিছু জানায়নি পরিবহণ দফতর। সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের নেতা টিটো সাহা বলেন, করোনা কালে পরিবহণ পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যহত হয়েছে। বেসরকারি বাসের আয় তলানিতে ঠেকেছে। তাই সরকার নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে তাঁদের পক্ষে আরও সমস্যা হয়ে। তাঁদের আশা, সরকার এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে।