Mamata Banerjee: ‘‌আর কত টিম বাংলায় পাঠাবেন?’‌ আবাস যোজনা ইস্যুতে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে। বঙ্গ–বিজেপির নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। তারপরই পূর্ব মেদিনীপুরে হাজির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। আর এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, সরব হলেন ১০০ দিনের প্রকল্পের বিষয়েও।

আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদল। তাঁরা মালদা ও পূর্ব মেদিনীপুর গিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন। নবান্ন সূত্রে খবর, মোট ৬জন থাকছেন প্রতিনিধিদলে। তিনজন করে দু’টি টিমে ভাগ হয়ে তাঁরা যাবেন দুই জেলায়। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে সরাসরি কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌পলিটিক্যাল কারণে মাঝেমাঝেই এ–টিম, বি–টিম, সি–টিম, এ–টু জেড টিম পাঠাচ্ছে। আর কত টিম পাঠাবেন?‌ একটা পটকা ফাটলে চলে আসছে এ–টিম। কারও ঘরে নিজস্ব ব্যবসার টাকা থাকলেও চলে আসছে বি–টিম।’‌

এদিকে ১০০ দিনের প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‌১০০ দিনের প্রকল্পের কাজে বাংলাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তা সত্ত্বেও ৫০ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি করেছি। আর কত টিম বাংলায় পাঠাবেন? রাজনৈতিক কারণে টিম পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। বিজেপি নেতারাও আবাস যোজনায় বাড়ি নিয়েছেন। সেই নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে? ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় সরকার। গরিব মানুষ কাজ করেছে। দীর্ঘদিন তাঁদের টাকা বাকি আছে। ভাববেন না দয়া করছে। এখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি তুলে নিয়ে যায়। এখন একটাই ট্যাক্স। কেন্দ্র–রাজ্য মিলিয়ে একটাই ট্যাক্স। সেই জিএসটির টাকাও আমরা পাচ্ছি না। বাংলা ১ নম্বর হওয়া সত্ত্বেও কেন বাংলাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না?‌ আর কতবার করে এক কথা বলতে হবে? কবার করে বলব?’‌

অন্যদিকে ভুয়ো জব কার্ড ইস্যুতে খড়গহস্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পালটা আক্রমণ, ‘‌ভুয়ো কার্ড দেখাচ্ছে। রাজ্যে নাকি ১১ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড কাজ করছে। আমাদের কাছে এমন তথ্য নেই। ওরাই দেখাচ্ছে। অথচ শুধু উত্তরপ্রদেশেই ৬৯ লক্ষ ভুয়ো কার্ড পাওয়া গিয়েছে। হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ সব জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। ৫০ লক্ষ নাম নথিভুক্ত ছিল। তার মধ্যে আমরা তদন্ত করে ১১ লক্ষ বাদ দিয়েছি। বিজেপি নেতারা নিজেদের নামে গ্রামীণ আবাস যোজনার টাকা নিয়ে নিয়েছে। আমরা সবটা তদন্ত করে দেখছি।’‌