tips to control thyroid: তিনটি ব্যায়ামে কীভাবে কবজা করবেন থাইরয়েড, পরামর্শ মালাইকার ট্রেনারের

ব্যায়ামের মাধ্যমে অনেক কঠিন রোগের চোখরাঙানি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। বয়স বাড়লে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে থাকে। একইসঙ্গে বাড়তে থাকে রোগের আনাগোনা। তার মধ্যে একটি হল থাইরয়েডের সমস্যা। বর্তমানে অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও এই সমস্যা রয়েছে। অথচ নিয়মিত কিছু সাধারণ ব্যায়াম করলে এই রোগ সহজে ছুঁতে পারে না । সম্প্রতি মালাইকা অরোরার ট্রেনার সর্বেশ শশী তেমন কয়েকটি ব্যায়ামের হদিশ দিলেন। ইনস্টাগ্রাম পেজে সর্বেশ একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষার কথা উল্লেখ করেন। সেই সমীক্ষা মতে, সারা ভারতে বর্তমানে ৪২ মিলিয়ন মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত। থাইরয়েডের কারণে ওজনও বেড়ে যেতে পারে। মালাইকা অরোরা সহ বেশ কয়েকজন বলিউড সেলেব্রিটিদের ট্রেনার জানান, তিনটি সহজ ব্যায়াম থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

হলাসন: সর্বেশের কথায়, হলাসন মেরুদন্ড ও পিঠের পেশিগুলিকে মজবুত করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ঘাড়, হাত ও পায়ের পেশি শক্ত করতে সাহায্য করে এই ব্যায়াম।

উষ্ট্রাসন: উষ্ট্রাসন বুক ও পেটের পেশিকে শক্ত ও স্থিতিস্থাপক করতে সাহায্য করে। কোয়াড্রিসেপ পেশিকেও টানটান করে এই ব্যায়াম। সর্বেশের মতে, নিয়মিত উষ্ট্রাসন করলে জরায়ুর পেশিও ভালো থাকে।

ভুজঙ্গাসন: ভুজঙ্গাসন শরীরের নমনীয়তা (ফ্লেক্সিবিলিটি) বাড়ায়। একইসঙ্গে মুড ভালো করতে সাহায্য করে। থাইরয়েডের রোগীরা প্রায়ই মুড ওঠানামার সমস্যায় ভোগেন। তবে, এই ব্যায়াম নিয়মিত করলে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

প্রসঙ্গত, আমাদের রোজকার জীবনের নিত্য দরকারি অভ্যাসগুলির মতোই একটি অভ্যাস হল যোগ ব্যায়াম। এতে শুধু শরীরের উপকার হয় তেমনটা নয়। বরং মনের স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে ব্যায়াম। চিকিৎসকরা বিভিন্ন রোগ সারাতে ওষুধের পাশাপাশি ব্যায়ামের পরামর্শও দিয়ে থাকেন। সাম্প্রতিক বেশ কিছু সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, রোজকার কাজের জন্য মন ও শরীরে প্রচুর পরিমাণে স্ট্রেস জমে। এই স্ট্রেস দূর করতেও মুখ্য ভূমিকা নেয় ব্যায়াম।

রোজ কাজের চাপে অনেকেই ব্যায়াম করার সময় পান না। অনেকে আবার জেনেবুঝেই এড়িয়ে চলেন শরীরচর্চা। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায়, ব্যায়ামে খুব বেশি সময় দিতে লাগে না। মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় দিলেই শরীর সুস্থ রাখা যেতে পারে। এইটুকু সময়ে একাধিক ব্যায়াম করলে হার্ট, ফুসফুস ও শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশি ভালো থাকে। পাশাপাশি, অনেক কঠিন রোগও সহজে সেরে যায়।