ছুটির দিনে ভিড় বেড়েছে মেট্রোরেলে

উদ্বোধনের পর মেট্রোরেলে কয়েকদিন কৌতূহলী যাত্রীর ভিড় থাকলেও মাঝে কিছুদিন যাত্রী সংকট ছিল। ছুটির দিনে শীতের সকাল থেকেই কেটে গেছে সেই সংকট। মেট্রোরেলে চড়ার স্বাদ নিতে স্টেশনগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। আগত যাত্রীদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে একবার মেট্রোরেলে চড়েছেন, তবে অধিকাংশই এবার প্রথম। ঢাকার বাইরে থেকে মেট্রোরেলে চড়তে আসা লোকের সংখ্যাও বেড়েছে এবার।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে সকাল ৮টা থেকে যাত্রীরা আসতে থাকেন এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই  ভিড় বাড়তে থাকে। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত প্রথমবারের মত মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা নিতেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে তারা এসেছেন।

কুর্মিটোলার বাসিন্দা সুলতান মাহমুদ প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল চড়ার অভিজ্ঞতা নিতে সপরিবারে আগারগাঁও রেলস্টেশনে আসেন। মেট্রোরেলে ভ্রমণকে স্বপ্নযাত্রা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য আনন্দের। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে আজকে সবাই মিলে এসেছি। প্রথমদিকে অনেক ভিড় থাকায় আজকে সময় করে এসেছি।

মেট্রোরেলে চড়তে কুয়াকাটা থেকে গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এসে আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন হাসিবুর রহমান। তিনি সকাল ৯টায় পরিবারসহ আগারগাঁও স্টেশনের যাত্রী লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকার বাইরের থাকি। ফলে সব সময় মেট্রোতে চড়ার সুযোগ হবে না। ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। ভাবলাম এই সুযোগে মেট্রোরেলেও ঘুরে যাই। ছুটির দিনে ভিড় বেড়েছে মেট্রোরেলে

রাজধানীর পীরেরবাগের বাসিন্দা গৃহিণী চামেলি আক্তার উদ্বোধনের পর থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন মেট্রোরেলে চড়ার। আজ সেই সুযোগ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাসার সবাই বলছিল মেট্রোরেলের কথা। আমিও দেখতে চাচ্ছিলাম এই ট্রেনে চড়তে কেমন লাগে, তাই বাসার সবাই মিলেই আজকে আসলাম।’

প্রথমবারের মতো ঢাকার মেট্রোরেল ঘুরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, সব কিছুই চমৎকার ছিল। এখন আমাদের সামনে মেট্রোরেল ব্যবস্থাকে সুন্দর রাখার জন্য দুটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মেট্রোরেল সার্ভিস যেন নিয়মিত থাকে, যাত্রীদের ব্যবহারে আরও সচেতন হতে হবে।’ ছুটির দিনে ভিড় বেড়েছে মেট্রোরেলে

মেট্রোরেল প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীরা মেশিনে এবং হাতে হাতে উভয় পদ্ধতিতে টিকিট কাটছিলেন। তবে স্টেশনের সি ব্লকের একটি টিকিট কাটার মেশিন নষ্ট থাকায় বাকি দুটি দিয়েই কাজ চলছিল। ভিড় সামলাতে যাত্রীদের একাংশ হাতেই টিকিট কাটছিলেন। তবে টিকিট কাটা নিয়ে কোনও অভিযোগ ছিল না যাত্রীদের মাঝে। নিয়মতান্ত্রিকভাবেই টিকিট কেটে তারা মেট্রোরেল ভ্রমণ করছিলেন।

তবে উত্তরা থেকে আসা যাত্রীরা একসঙ্গে স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় খানিকটা ভিড় জমে গিয়েছিল। বের হওয়ার প্যাসেঞ্জার পাসিং মেশিন তিনটির একটি সংস্কারের কাজ চলছিল। বাকি দুটি দিয়ে যাত্রীরা স্টেশন ছাড়ছিলেন।