জল পর্যন্ত খেতে দেয়নি, জামিনে মুক্তি পেয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার

জামিন পেয়েই পুলিশের বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতনের অভিযোগে মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার রামচন্দ্র পন্ডা। কাঁথি শ্মশান দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। বলেন, টেবিলে বন্দুক রেখে আমাকে জেরার নামে হুমকি দিয়েছেন নবান্নের পুলিশ আধিকারিকরা। এমনকী আমাকে পুলিশের লেখা বয়ানে সই করতে চাপ দেওয়া হয়েছে।

এদিন রামচন্দ্রবাবু বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আমাকে উলটো পালটা প্রশ্ন করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে বাজে কথা বলা হোক, শুভেন্দু অধিকারীর টাকা কোথায় আমাকে থ্রেট করা হচ্ছে। কন্টাইয়ের আইসি বলছেন, ‘টাকা কোথায় তুই বল।’ আমার মামলার তদন্তকারী আধিকারিক আমাকে বলছেন, নবান্ন থেকে বড় বড় অফিসাররা এসেছেন, ঠিক ঠাক করে উত্তর দেবেন। আমি বসলাম, তারপর দেখি ৩ জন অফিসার ঢুকলেন। রিভলভার টেবিলে রাখলেন। রিভলভার টেবিলে রেখে আমাকে বীভৎসভাবে চাপ দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর টাকা কোথায় বল। নাহলে তোকে ৮৭টা কেস দেব। সব কেসে ৭ দিন করে পুলিশ হেফাজতে রেখে দেব। রাজ্যের সব পুলিশ হেফাজত তোকে ঘুরিয়ে নেব। আর যদি টাকা কোথায় আছে না বলিস, তাহলে আমরা বয়ান লিখব তুই সই করবি। নিরাপত্তাকর্মী পর্যন্ত আমার পেটে স্টেন গান দিয়ে খোঁচা দিয়েছে। বাজে বাজে ভাষা বলেছে’।

তাঁর দাবি, ‘যে ভাবে চিংড়িমাছের মালাইকারি, দেশি মুরগির ঝোল করে আমাকে সাজিয়ে বসানো হয়েছিল আমার মনে হচ্ছে আমাকে ওষুধ খাইয়ে বশ করার প্ল্যানিং ছিল। আমি একটা দানা ভাত খাইনি। আমাকে জল পর্যন্ত খেতে দেয়নি। আমার জলের বোতল কেড়ে নিয়েছে। আমাকে বলছে তোকে ৩ বছর জেলে পচিয়ে দেব। নবান্নের অফিসাররা বলছেন, তুই যদি না বলিস তোর স্ত্রীকে গ্রেফতার করব’।

যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কন্টাইয়ের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। কন্টাই শ্মশান দুর্নীতি মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।