হাইকোর্টে জামিনের আবেদন খারিজের পরদিন ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত

বুধবারই হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন। শুধু আবেদন খারিজই নয়, পর্যবেক্ষণে যে সব কড়া বাক্য বিচারপতিরা লিখেছেন তাতে অদূর ভবিষ্যতেও তাঁর জামিনের সম্ভাবনা কম। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার অনুব্রতর ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ হওয়াটা ছিল যেন সময়ের অপেক্ষা। হলও তাই। ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘বীরভূমের বাঘ’কে ফের জেল হেফাজতে পাঠালেন বিচারক।

হাইকোর্টে জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এদিন যেন আসানসোল আদালতে রণেভঙ্গ দিয়ে দেন অনুব্রতর আইনজীবীরা। জামিনের আবেদন করা তো দূরে থাক এদিন আদালতে দেখা যায়নি অনুব্রতর কোনও আইনজীবীকে। এরই মধ্যে আসানসোল জেল থেকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করা হয় কেষ্টকে। জেল থেকে বেরনোর সময় অনুব্রতর কপালে ছিল গেরুয়া টিকা। সাংবাদিকদের শত প্রশ্নেও কোনও জবাব দেননি তিনি। আদালত কক্ষে শুনানি শুরু হলে বিচারকের সামনে কেস ডায়েরি পেশ করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য।

মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, জেলে বসে অ্যাপের মাধ্যমে লোককে ফোন করছেন অনুব্রত। এদিন পেশ করা কেস ডায়েরিতে ২ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করেছে সিবিআই যারা জানিয়েছেন, জেলে বসে অনুব্রত তাঁদের ফোন করেছিলেন। প্রায় ৫ মিনিট ধরে কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখেন বিচারক। এর পর অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন তিনি। ফলে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘বীরভূমের বাঘ’এর ঠিকানা হল আসানসোল জেল।

এদিন ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয় সায়গল হোসেনকেও। তিনি বিচারককে জানান, দিল্লিতে খুব ঠান্ডা। তাই তাকে পশ্চিমবঙ্গে ফেরানো হোক। সশরীরে আদালতে পেশ করা হোক তাকে। জবাবে বিচারক তাকে পদ্ধতি মেনে আবেদন করতে পরামর্শ দেন। তাকেও একই রকম ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এদিন আদালতে দেখা যায়নি অনুব্রতর কোনও অনুগামীকে। আদালত চত্বর ছিল শুনশান। শুনানি শেষ হতেই অনুব্রতকে নিয়ে জেলের উদ্দেশে রওনা হয় গাড়ি। এই প্রথম এমন দৃশ্য দেখা গেল আসানসোল আদালতে।