Air India Urine Incident Probe: বিমানে মহিলার গায়ে টয়লেট করা ব্যক্তির নামে লুক আউট সার্কুলার জারির দাবি পুলিশের

এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী অপরাধী শঙ্কর মিশ্রের বিরুদ্ধে একটি লুক আউট সার্কুলার জারি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, শঙ্কর মিশ্র গোটা ঘটনায় পুলিশকে সাহায্য করছেন না। নিউইয়র্কের জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নয়াদিল্লিগামী বিমানে এক মহিলা সহযাত্রীর গায়ে মূত্র বিসর্জন করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই শঙ্কর মিশ্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ২৯৪, ৫০৯, ৫১০ নং ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে তিন বছর পর্যন্ত মেয়াদের জন্য জেলে যেতে হতে পারে শঙ্করকে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তি ৩০ দিনের জন্য বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন না। (আরও পড়ুন: খারাপ আচরণের জন্য হারান চাকরি, পুরোনো অফিসে ঢুকে প্রাক্তন বসকে গুলি ব্যক্তির)

জানা গিয়েছে, বিমানে টয়লেট করার ঘটনাটি গতবছর ২৬ নভেম্বর ঘটেছিল। ভুক্তভোগী সহযাত্রী গোটা ঘটনা জানিয়ে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনকে একটি চিঠি লেখেন। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে এয়ার ইন্ডিয়া। এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘নো-ফ্লাই’ লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছিল সরকারের কাছে। ডিজিসিএ-কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার পদক্ষেপে ডিজিসিএ এয়ার ইন্ডিয়ার ‘অপেশাদারিত্বে’ মোটেই সন্তুষ্ট নয়।

 

কী ঘটেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে?

অভিযোগ, ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার গায়ে মত্ত অবস্থায় মূত্র বিসর্জন করেছিলেন শেখর। সেই বৃদ্ধা এই ঘটনা সম্পর্কে কেবিন ক্রুকে অবগত করলেও অভিযুক্ত যাত্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকী দিল্লি বিমানবন্দরে সেই বিমানটি অবতরণ করার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের বাড়ি চলে যান। তখন সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে জাতীয় মহিলা কমিশন ঘটনাটি নিয়ে সক্রিয় হয়েছে। পুলিশে এফআইআর করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এআই-১০২ নং উড়ানে ঘটনাটি ঘটেছে। নিউইয়র্ক বিমানবন্দর থেকে উড়ানটি টেকঅফ করার পর লাঞ্চ দেওয়া হয় যাত্রীদের। এরপর যাত্রীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিমানের লাইট বন্ধ করে দেওয়া। এরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তি বৃদ্ধার আসনের সামনে এসে নিজের প্যান্টের জিপ খুলে মূত্র বিসর্জন শুরু করেন।

মূত্র বিসর্জন করার পরও অনেকক্ষণ নিজের গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করে সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই ব্যক্তি। এরপর বাকি যাত্রীরা প্রতিবাদ শুরু করলে সেই অভিযুক্ত সেখান থেকে চলে যান। তার আগে অবশ্য সেই বৃদ্ধার শরীর, জামা কাপড়, জুতো, ব্যাগ, আসন সেই অভিযুক্তের মূত্রে ভিজে যায়। এরপরে কেবিন ক্রু সেই বৃদ্ধাকে কিছু জামাকাপড় দেয়। তবে অন্য আসন ফাঁকা না থাকায় সেই মূত্রে ভেজা আসনেই যাত্রীকে বসতে হয়। আসনের ওপর দিয়ে একটি চাদর বিছিয়ে দিয়েছিলেন এক কেবিন ক্রু।