Darjeeling: পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠকে BJP MP, নয়া অঙ্কে কতটা চাপে TMC?

কয়েকদিন আগেই জিটিএর প্রাক্তন প্রধান বিনয় তামাং তৃণমূল ত্যাগ করেছেন। এরপর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগা শুরু করেছেন তিনি। এরপর থেকেই পাহাড়ে সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত মিলছিল। আর শুক্রবার দার্জিলিংয়ের সিংমারিতে মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। সিংমারিতে বিমলের দফতরে গিয়েই হাজির হন বিজেপি সাংসদ। এদিকে বিগত দিনে বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ত্যাগ করে তৃণমূলের সঙ্গেই কার্যত সমঝোতা করে পাহাড়ে ফিরেছিলেন বিমল। তবে কি এবার ঘুঁটি উলটে গেল? বিমলকে ভরকেন্দ্র করেই পাহাড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খেলা শুরু হয়ে গেল?

রাজু বিস্ত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ভোটে বিমলের অবদান তিনি ভোলেননি। বিমল গুরুং বর্তমানে বিজেপিতে না থাকলেও তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সম্প্রতি দার্জিলিং পুরসভায় কার্যত কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অনীত থাপার দল ক্ষমতায় আসছে দার্জিলিং পুরসভায়। তারপরই ক্ষমতাসীন অনীত থাপার বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ এনে তৃণমূল ছাড়েন বিনয় তামাং। এতে কিছুটা হলেও ধাক্কায় খায় তৃণমূল। আবার বিনয় হলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের পুরাতন সঙ্গী।

অন্যদিকে অজয় এডওয়ার্ডও কার্যত বর্তমানে বিমলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন বলে সূত্রের খবর। আবার বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তও দেখা করলেন বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে। সেক্ষেত্রে পাহাড়ে রাজনৈতিক সমীকরণ দ্রুত বদলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। পাহাড়ে রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই কি মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বিজেপি সাংসদ? সেই প্রশ্নটা উঠছে।

সব মিলিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে গত বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূলের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন বিমল গুরুং। তবে ইদানিং সেই সম্পর্কে কিছুটা চিড় ধরছিল বলে খবর। অন্যদিকে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অনীতের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে অজয় এডওয়ার্ড, বিমল গুরুং ইতিমধ্যেই কাছাকাছি এসেছেন। বিনয় তামাংও গুরুংয়ের সঙ্গে থাকবেন বলে ইঙ্গিত মিলছে। তার মধ্যেই এবার রাজু বিস্ত দেখা করলেন গুরুংয়ের সঙ্গে। সেক্ষেত্রে পাহাড়ে এবার বিনয় তামাং, বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড ও রাজু বিস্ত একজোট হলে অন্য শিবিরে থাকতে পারে অনীত থাপা ও তৃণমূল। সেই অঙ্কে রাজ্যের শাসক তৃণমূলের কতটা সুবিধা হবে সেই প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।