Mamata Banerjee: হলদিয়া–নন্দীগ্রামে যাতায়াতের সেতু গড়বে রাজ্য সরকার, নতুন উপহার মুখ্যমন্ত্রীর

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি পরাজিত হন। যদিও এই ফলাফল নিয়ে বিতর্ক আছে। লোডশেডিং করিয়ে তাঁকে হারানো হয়েছিল বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও চলছে। তবে তার পরেও নন্দীগ্রামের মানুষের অসুবিধার কথা তিনি ভোলেননি। আর তাঁদের সুবিধার জন্য নতুন বছরে নন্দীগ্রামবাসীকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপহার দিতে চলেছেন। নন্দীগ্রাম–হলদিয়ার সংযোগকারী সেতু তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যা বাস্তবায়িত হলে এই জেলার অর্থনৈতিক পরিকাঠামো পরিবর্তন হবে।

বিষয়টি ঠিক কী জানা যাচ্ছে?‌ আজ, শুক্রবার এই নতুন বছরের উপহারের কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, এই সেতুটি তৈরি হয়ে গেলে নন্দীগ্রাম–সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুরের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক পরিস্থিতি বদলে যাবে। তিনি বলেন, ‘‌পূর্ব মেদিনীপুরবাসী তথা নন্দীগ্রামবাসীর জন্য বড় কাজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে হাসপাতাল, তমলুক–দিঘা রেল যোগাযোগ–সহ নানা কাজ করা হয়েছে। নতুন বছরে এবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হলদিয়া–নন্দীগ্রামের মধ্যে সেতু তৈরি করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের ডিপিআর তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। একটু সময় লাগবে। তবে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপকার হবে।

কেন হঠাৎ এমন পদক্ষেপ করলেন?‌ একুশের নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে এসে মানুষজনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই সেতুটি তিনি তৈরি করে দেবেন। তারপরই ২০২২ সালের রাজ্য বাজেটে এই সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দ রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই কাজ শুরু হবে। এখানকার মানুষ সেতু চাইছিলেন। সেটা করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা রাখলেন তিনি।

কেমন উপকার হবে মানুষের?‌ হলদি নদীর এক প্রান্তে নন্দীগ্রাম। অপর প্রান্তে বন্দরশহর হলদিয়া। এখানে হলদিয়া–নন্দীগ্রাম করতে হলে খেয়া পারাপার করতে হয়। না হলে ঘুরপথে অনেকটা যেতে হয় সড়ক পথে। এই সেতু হয়ে গেলে মানুষ যেমন কম সময়ে পৌঁছতে পারবে। তেমনই আবার পণ্যবাহী ট্রাক–লরিকে ঘুরপথে বাড়তি সময় ও জ্বালানি ব্যয় করে যেতে হবে না। মানুষ দু’‌ভাবেই যাতায়াত করতে পারবে। খেয়া এবং সেতু দিয়ে। কম সময়ে কর্মস্থলেও পৌঁছনো সম্ভব হবে। ফেরি পরিষেবায় অনেক সময় যাত্রী সুরক্ষা মানা হয় না। নন্দকুমার দিয়ে ঘুরে যেতে হয় অনেকটা সময় ব্যয় করে নন্দীগ্রামে। এটাই এখন বিকল্প পথ। সেতু তৈরি হলে সময়–খরচ দুই–ই বাঁচবে।