চিনি আর চুন মিশিয়ে ভেজাল খেজুর গুড়, বদনাম হচ্ছে কাটোয়ার, ঠকতে পারেন আপনিও

শীতকাল মানেই জমিয়ে খাওয়ার দিন। আর খেজুর গুড় ছাড়া যেন জমেই না শীতকাল। কিন্তু এবার খেজুর গুড়েও ভেজাল। অভিযোগ এমনটাই। অসাধু ব্যবসায়ীরা কাটোয়ার খেজুর গুড়ের নাম করে ভেজাল গুড় বিক্রি করছেন। সূত্রের খবর, চিনি আর চুন মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে ভেজাল খেজুর গুড়। আর সেটাই কাটোয়ার গুড় বলে বাজারে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী অন্য রাজ্যেও এই গুড় পাঠানো হচ্ছে। কম দামে সেই গুড় কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন আমজনতা। কিন্তু সেই স্বাদ কি পাচ্ছেন ক্রেতারা? এমনকী চুন আর চিনি মেশানো সেই গুড় খেয়ে আখেরে শরীরের বারোটা বাজছে সাধারণ মানুষের।

এদিকে খাঁটি খেজুর গুড় পেতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই দাম কিছুটা বেশি পড়তে পারে। খাঁটি খেজুর গুড়ের দাম কমবেশি ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু বাজারে খেজুর গুড় ৮০ থেকে ১২০টাকা কেজি দরেও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এই দামে কি খাঁটি খেজুর গুড় দেওয়া সম্ভব?

এখানেই আসল কারসাজিটা করা হচ্ছে। কাটোয়ার গুড় বলে ভেজাল গুড়কে ভিনরাজ্যেও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে এক কেজি রসে দশ কেজি চিনি আর ২০০ গ্রাম চুন মেশানো হচ্ছে। রসের ঘাটতি মেটাতে কলের জলও মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর ভালো মানের রসও অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এর জেরে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। আর লাল রঙ আনার জন্য চিনি পুড়িয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

তবে শুধু খেঁজুর গুড়ের ক্ষেত্রেই নয়, পাটালি বলে যা বিক্রি হচ্ছে তাতেও চিনি সহ অন্যান্য অপদ্রব্য মেশানো হচ্ছে পুরোদমে। এর জেরে পাটালির সেই স্বাদ আর পাওয়া যাচ্ছে না। আর খেজুর গুড়ের ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি।

এদিকে গুড় প্রস্তুতকারকদের দাবি, রসের মানও দিন দিন কমছে। এর জেরে গুড়ের মানও কমতে শুরু করছে। যার জেরে সেই আগের স্বাদ আর মিলছে না। এদিকে কাটোয়ার খেজুড় গুড়ের নামডাক রয়েছে যথেষ্ট। কিন্তু সেই কাটোয়ার গুড়ের নাম করে ভেজাল গুড় বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত কাটোয়ার ব্যবসায়ীরা এতে সমস্যায় পড়ছেন। এর জেরে কাটোয়ায় যারা ভালো মানের গুড় তৈরি করেন সমস্যায় পড়ছেন তারা। অনেকেই কাটোয়ার গুড় ভেবে খারাপ মানের গুড় কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে দেখে শুনে কিনতে না পারলে ঠকতে পারেন আপনিও।