Covid infection may affect sperm: কোভিড আক্রান্ত হলেই কমে যাচ্ছে শুক্রাণু! পুরুষদের বীর্য নিয়ে গবেষণায় নতুন দাবি

কোভিড সংক্রান্ত একের পর এক গবেষণায় উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (এইমস)-এর একটি গবেষণায় উঠে এল তেমনই তথ্য।  ৩০ জন পুরুষের উপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল এইমস। তারই ফলাফল হিসেবে জানা যায়, কোভিডের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বীর্য। সার্স কোভ-২  (SARS Cov-2) ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে এই পরীক্ষা চালানো হয়। দীর্ঘ সমীক্ষা চালানোর পর এমন তথ্যই এবার প্রকাশ্যে এল।  গবেষকদের দাবি, ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেলেও তা বেশ কিছু সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর আগে কোভিডে প্রভাবে হৃদরোগ ও ফুসফুসের জটিল রোগ দেখা দিচ্ছিল। সে সবের পাশাপাশি নতুন সমস্যা হয়ে দেখা দিল বীর্যের সমস্যা। 

পাটনার এইমসের একটি বিশেষজ্ঞ হলের নেতৃত্বে এই সম্পূর্ণ গবেষণা করা হয়। গবেষণার পর দেখা গিয়েছে, কোভিড ভাইরাস তার অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম-২ রিসেপ্টরের মাধ্যমে অন্ডকোষের ক্ষতি করে।  প্রসঙ্গত এটি একটি বিশেষ রিসেপ্টর যার মাধ্যমে ভাইরাস মানবকোষের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে। এমনকী মানবকোষের সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ স্থাপনের কাজও এই রিসেপ্টররের সাহায্যে হয়। এর মাধ্যমেই পুরুষের শুক্রথলির ক্ষতি করে ভাইরাস। 

কিউরিয়াস জার্নাল অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে সম্প্রতি এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়। সেখানেই বিজ্ঞানীরা সার্স কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে নতুন তথ্য তুলে ধরে। বীর্যের গুণমান ও শুক্রাণুর ডিএনএ বিভাজন সূচকের উপর রোগের প্রভাব কেমন তাই ছিল এই পরীক্ষানিরীক্ষার বিষয়বস্তু। পরীক্ষার জন্য প্রথমে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এমন পুরুষদের থেকে বীর্য সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই স্পার্ম কাউন্টের উপরেই চলে বাকি গবেষণা। আক্রান্তরোগীদের বয়স ১৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে ছিল। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১-এর এপ্রিল পর্যন্ত এই গবেষণা চলে। 

গবেষকদের কথায়, সবকটি নমুনার উপর একটি রিয়েল টাইম রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টের পরীক্ষা করা হয়। পাশাপাশি শুক্রাণুর ডিএনএ বিভাজন সূচকে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়। এই পরীক্ষায় প্রথম নমুনা নেওয়ার ৭৪ দিন পর দ্বিতীয় নমুনা নেওয়া হয়। দেখা যায়, ততদিনে সবদিক থেকে বীর্যের মান কমে গিয়েছে। প্রথম নমুনাতে বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ, প্রাণশক্তি, গতি ও ঘনত্ব বেশ কম ছিল। তবে দ্বিতীয় নমুনার অবস্থা ছিল আরও খারাপ। দেখা যায়, দ্বিতীয় নমুনায় শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও, এই বীর্যের ডিএনএ ফ্র্যাগমেন্টেশন সূচক বেশি ছিল।