Online Biryani: অনলাইনে অর্ডার করা বিরিয়ানি খেয়ে মৃত্যু তরুণীর, কী ছিল খাবারে?

অনলাইনে বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলেন কেরলের ২০ বছর বয়সী এক তরুণী। আর সেই বিরিয়ানি খাওয়ার পরে অসুস্থতা। আর পরে মৃত্যু ওই তরুণীর। অঞ্জু শ্রীপার্বতী নামে ওই তরুণীর মৃত্যুকে ঘিরে নানা প্রশ্ন।গত ৭ জানুয়ারি মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর।এদিকে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে ওই তরুণী অনলাইনে বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলেন। আর সেই বিরিয়ানি খেয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর। প্রসঙ্গত গত ৩১ ডিসেম্বর তিনি বিরিয়ানির অর্ডার করেছিলেন। সেদিনই তিনি বিরিয়ানি খান। আর তারপর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।তারপর থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু ৭ জানুয়ারি মৃত্যু হল তাঁর।

এদিকে সূত্রের খবর, পেরামবুলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ওই তরুণী। বিরিয়ানি খাওয়ার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মনে করা হচ্ছে তার খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়েছিল। তাকে ম্য়াঙ্গালুরুর হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও তিনি সুস্থ হতে পারেননি। এদিকে মেয়ের মৃ্ত্যর পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা মা।

কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ফুড সেফটি কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এই খাদ্যে বিষক্রিয়ার অভিযোগটি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হয়। কিন্তু ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হল?

কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফুড সেফটি ও স্ট্যান্ডার্ড অ্য়াক্ট অনুসারে অভিযুক্ত হোটেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে ওই তরুণীর দেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ফুড সেফটি কমিশনার ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রেস্তরাঁটা পরিদর্শন করেছেন।তবে সেখানে আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি বলেই খবর। মোটামুটি পরিচ্ছন্নই রয়েছে রেস্তরাঁটি।

পুলিশ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তবে এবারই প্রথম নয়, কিছুদিন আগে রেশমি নামে এক নার্সের মৃত্যু হয়েছিল কোট্টায়াম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তিনি স্থানীয় কোনও খাবার খেয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর ৩৩ বছর বয়সী ওই নার্সের গত ৩ রা জানুয়ারি মৃত্যু হয়। এদিকে সেই রেস্তরাঁতে খাবার খেয়ে সেদিন আরও ২০জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে খবর।

এদিকে গত ১ জানুয়ারি ১০০ জন কেরলে একটি চার্চের অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে অন্তত ১০০জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।