CPIM কর্মীদের বার্তা সুকান্তর, অভিষেকের MBA নিয়ে প্রশ্ন বিজেপি নেতার

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্য়েই রাজনৈতিক দলগুলি তাদের মতো করে ঘর গোছাতে শুরু করেছে। এর মধ্যে পুরুলিয়া থেকে সুর চড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, তৃণমূল সোনার বাংলা থেকে টিনের বাংলায় পরিণত করেছে। বিজেপি সোনার বাংলার জন্য পথ দেখাবে। এই জেলা থেকে ১ লক্ষের বেশি মানুষ অন্য় রাজ্যে কাজ করতে যায়। বিজেপির সরকার যেখানে সেখানে কাজ করতে যায় বাংলার মানুষ। গোয়াতে, গুজরাটে গিয়ে দেখে এসেছি। ওখানে মজুরি ১০০০ টাকা। আর পুরুলিয়ায় ২০০-৩০০ টাকা মজুরি।

এর সঙ্গেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিগ্রি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত মজুমদার। এদিন তিনি বলেন, একটা সময় তিনি লিখতেন ডঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বাম জমানা। সবাই খোঁজখবর শুরু করল। ডাক্তার কীভাবে হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ডাক্তারি পাশ করে এলেন? পরে জানা গেল, তিনি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাকি পিএইচডি করে এসেছেন। পরে বাম নেতারা খুঁজে বেড়ালেন। দেখা গেল ওরকম কোনও বিশ্ববিদ্য়ালয় নেই। ডিগ্রিটা ভাঁওতা। ভাইপোর কীর্তি আরও উপরে। তিনি নাকি এমবিএ করেছেন। দেখা গেল সেই ডিগ্রিটাও ভুয়ো। তবে এনিয়ে তৃণমূলের কোনও মন্তব্য মেলেনি।

তিনি বলেন, বাংলায় বিপ্লবীরা আর গর্ব নন। এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো লোকেরা নাকি বাংলার গর্ব। এমনটাই বলা হয়েছে।

এর সঙ্গেই তিনি সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে বলেন, তিহাড় জেল অপেক্ষা করছে। তিনি মুখ খুললেই তিনি যে নাম বলবেন তা শোনার জন্য বাংলার মানুষ অপেক্ষা করে আছেন। পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম-বিজেপি বোঝাপড়ার জল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,সিপিএম তৃণমূলের সঙ্গে গট আপ করে তৃণমূল বিরোধী ভোটকে ভাগ করার চেষ্টা করছে। সিপিএমের সাধারণ ভোটারদের বলছি সিপিএমকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। বিজেপিকে ভোট দিন।

এর সঙ্গেই তিনি অনুব্রত মণ্ডলকেও একহাত নেন। তিনি বলেন এই যে বলা হত অনুব্রত মণ্ডল বাঘ। আসলে তিনি বাঘ নন। শেয়াল। শেয়াল খাঁচাতে বন্দি আছে। এবার তাকে দিল্লি পাঠাব। তিনি খ্যাক শিয়াল হবে। তৃণমূলের পদ নিলাম হয়। মোমিনপুরের অশান্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার আসল লোক ধরা পড়বে। আইনের হাত অনেক লম্বা।