Suvendu Adhikari on Nandigram Divas: ‘বামপন্থী হিন্দু ভোটে জিতেছি, বামেরা সবাই খারাপ না’, নন্দীগ্রামে বললেন শুভেন্দু

শহিদ দিবসে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে নন্দীগ্রামে। এই আবহে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির পায়ের তলায় জমি আরও শক্ত করতে এবং নির্বাচনে ভালো ফল করতে বামেদের পাশে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর আগেও বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে শুভেন্দুকে ‘বাম বন্দনা’ করতে শোনা গিয়েছিল। আর নন্দীগ্রামে যে বাম সরকারের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল, সেই বামেদের সম্পর্কেই শুভেন্দু আজ বললেন, ‘বামেরা সবাই খারাপ নন।’ শুধু তাই নয়, আজ শুভেন্দু বলেন, ‘বামপন্থী হিন্দুদের ভোটে আমি জিতেছি আমি।’

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল অভিযোগ করে এসেছে যে বামেদের ভোট রামে যাওয়ার কারণেই বিজেপির এই উত্থান। সেই ‘অঙ্ককে’ কার্যত শিলমোহর দিয়ে শনিবার শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূলের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল সিপিএম। অনেক বেশি ক্ষমতা ছিল বামফ্রন্ট সরকারের। বামপন্থীরা সবাই খারাপ নন। আমাদের সঙ্গে প্রচুর বামপন্থী এসেছেন। নন্দীগ্রামে একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু, তাঁরা ভোট দিয়েছেন বলে আমি জিতেছি। আমি তা অকপটে স্বীকার করি।’ এদিকে মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘যদি নন্দীগ্রাম না থাকত, তাহলে তিনি দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেতেন।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে সিপিআই-এর ‘নিরাপদ আসন’ বলে পরিচিত ছিল নন্দীগ্রাম। তবে ২০১১ সাল থেকে অঙ্ক বদলে যায়। নন্দীগ্রাম শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয় তৃণমূলের জন্য। সেই নন্দীগ্রামেই ২০২১ সালে ত্রিমুখী লড়াইতে মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং সিপিএম-এর মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেই ভোটে ১৯৫৬ ভোটে মমতাকে হারান শুভেন্দু। সেখানে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন বামেদের তরুণ মুখ মীনাক্ষী।

এদিকে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ৭ জানুয়ারির দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘নন্দীগ্রাম দিবস’ হিসেবে। সেই উপলক্ষে কুণাল ঘোষ এদিন নন্দীগ্রামে ‘শহিদদের’ প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সেখান থেকে তিনি শুভেন্দুকে আক্রমণ শানিয়েছেন। জবাবে শুভেন্দুও পালটা তোপ দাগেন কুণালকে। শুভেন্দু বলেন, ‘যাঁদের দেখছেন তাঁরা হালি নেতা। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্কই নেই। ওরা পতাকা টাঙিয়েছে। নীচে ওই শহিদ বেদিটা আমার বানানো। সরকারি জায়গায়, কিন্তু বেদিটা সরকারি টাকায় তৈরি নয়। ইট-সিমেন্ট-বালি- সব আমার দেওয়া।’

সেদিনের ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে লালগড় প্রায় ২০০ কিলোমিটার। আমি নিজে পৌঁছেছিলাম ১১টার সময়। সেখানে ফুলকোবাড়ি মাইতি, গীতালি আদক, আরতি মণ্ডল, শ্যামানন্দ ঘোড়াই, ধীরেন সেন, ধ্রুব গোস্বামী, সৌরভ ঘোড়াই- এঁদের সবদেহ আমি নিজে তুলেছি’