Alzheimer’s and dementia: রোগের ৯ বছর আগেই বোঝা যাবে আপনি অ্যালজাইমারে আক্রান্ত কিনা, জেনে নিন কীভাবে

কোনওরকম পরীক্ষা ছাড়াই অ্যালজাইমার্স ও ডিমেনশিয়ার লক্ষণ বোঝা সম্ভব। তাও আবার নয় বছর আগে থেকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন ফলাফল পাওয়া গেল। একদল বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ গবেষণার ফলে এবার ডিমেনশিয়া আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতটা তা আগে থেকে বুঝে ফেলা যাবে। জার্নাল অফ অ্যালজাইমার্স অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত গবেষণাটি অনুযায়ী, ভবিষ্যতে এই রোগের কবলে পড়তে পারেন এমন ব্যক্তিদের আগে থেকেই স্ক্রিনিং-এর মাধ্যমে খুঁজে বার করা সম্ভব। এতে রোগটি আটকাতে একদিকে যেমন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, অন্যদিকে কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তাও দ্রুত শুরু করা যেতে পারে।

গবেষকদলের অন্যতম প্রধান সদস্য নল সাদ্দিয়ুদিপঙ সংবাদ সংস্থাকে জানান, প্রায়ই চিকিৎসকদের কাছে আসা রোগীদের পরীক্ষা করে দেখা যায় রোগের উপসর্গগুলি অনেক আগে থেকে দেখা দিতে শুরু করেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বুদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত কাজে রোগী বহুদিন ধরেই দুর্বল। অর্থাৎ, কোনওকিছু মনে রাখা, নতুন জিনিস শেখা, রোজকার কাজগুলি ঠিকভাবে ভেবেচিন্তে করার সময় তাঁর সমস্যা হয়। তাঁর কথায়, এই লক্ষণগুলিই ডিমেনশিয়া রোগটি নির্ণয়ে সাহায্য করে। দেখা গিয়েছে, ৫০-এর বেশি বয়স বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে বা তেমনভাবে ব্যায়াম করেন না এমন ব্যক্তিরা প্রায়ই ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হন। এঁদের চিকিৎসা যদি অনেক আগে থেকেই শুরু করা যায়, তবে রোগটি এড়ানো যেতে পারে।

এই গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা ব্রিটেনের বায়োব্যাঙ্কের তথ্যের সাহায্য নেন। সেখানে মূলত সমস্যা সমাধান ও সংখ্যা মনে করতে পারার দক্ষতাকে পরীক্ষার বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত এই দুটিই ডিমেনশিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। গবেষক দলের প্রবীণ সদস্য টিম রিটম্যান জানাচ্ছেন, অনেকেই এমন রয়েছেন যারা সংখ্যা ঠিকভাবে মনে করতে পারেন না। তাই বলে ডিমেনশিয়া নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত নন এমন অনেককেই এই সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। তবে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকলে দেরি না করে নিজের পারিবারিক চিকিৎসকের দ্রুত পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ইনডেপেন্ডেন্ট পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমস্যা সমাধান করতে পারা, প্রতিক্রিয়ার সময় (রিয়্যাকশন টাইম), সংখ্যা মনে করতে পারার মতো কাজে ভবিষ্যতে অ্যালজাইমার্স আক্রান্ত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের প্রাপ্ত নম্বর সুস্থ ব্যক্তিদের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। এমনকী ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও একই ফলাফল দেখা গিয়েছে। এর থেকেই এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।