‌ISIS Terrorist: আরও এক আইএস জঙ্গি গ্রেফতার এসটিএফের হাতে, মধ্যপ্রদেশ থেকে কলকাতায় আনা হচ্ছে

এবার মধ্যপ্রদেশ থেকে আইএসআইএস জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হল আরও একজনকে। গ্রেফতার হওয়া যুবকের নাম কুরেশি। সে আইএস মডিউলের মাথা বলে তদন্তে উঠে এসেছে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ওই যুবককে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসছে বলে খবর। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে দুই সন্দেহভাজন আইএসআইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ধৃত দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে জেরা করে মেলে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মহম্মদ সাদ্দাম ওরফে সাদ্দাম মল্লিক এবং সৈয়দ আহমেদকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার আরও একজনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ।

ঠিক কী করেছে এসটিএফ?‌ সাদ্দাম–সৈয়দদের জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসটিএফ পেয়েছে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে এগোতেই মেলে আবদুল রাকিব কুরেশির নাম। আর তাকে খোঁজ করতেই ঘুঁটি সাজায় এসটিএফ। কারণ প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বড় নাশকতা করার পরিকল্পনা করেছিল এই জঙ্গিরা। এই কুরেশি দেশের আইএস সংগঠনের অন্যতম মাথা। তাঁকে হাতে পাওয়া গিয়েছে। এবার লিঙ্কম্যানদের খোঁজে নামবেন তদন্তকারীরা বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। আজ, মঙ্গলবারই ধৃত কুরেশিকে কলকাতায় আনা হতে পারে। বুধবার তোলা হবে আদালতে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ২০১৯ সালে ৮ মাসের জন্য নয়ডায় যায় মহম্মদ সাদ্দাম। আর সেখান থেকে ফিরে এসে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি নেয়। একইসঙ্গে আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই যুবক। এসটিএফ সূত্রে খবর, চাকরি পাওয়ার পর তিনজনের মগজ ধোলাই করেছিল সাদ্দাম। বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পড়াশোনাও করেছিল। এমনকী নিজের টাকাতেই অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করে সাদ্দাম। আর সবটাই হয়েছিল কুরেশির নির্দেশে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এম টেকের ছাত্র ছিল সাদ্দাম। তবে মাঝপথে পড়া ছেড়ে জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখায়।

আবদুল রাকিব কুরেশি কি কলকাতায় এসেছিলেন? এখন ধরা পড়ার পর এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ জেরা করে গোয়েন্দারা জেনেছেন, সাদ্দাম প্রায়ই উত্তর ভারতে যেতেন। তাঁর সংগঠনের বৈঠক হতো সেখানে। কার সঙ্গে তিনি বৈঠক করতেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। এই কুরেশির সঙ্গেই দেখা করতেন সাদ্দাম। আর আবদুল কুরেশি কলকাতাকে সেফ করিডর করে মধ্যপ্রদেশ গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর।