Joshimath: এখনই বাসিন্দাদের নিরাপদে এলাকা থেকে সরিয়ে আনার বার্তা! যোশীমঠ নিয়ে হাইভোল্টেজ বৈঠকে কী উঠে এল?

দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠে ভূমি অবনমন ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য। তৈরি হয়েছেে। পরিস্থিতি নিয়ে আজ জরুরি বৈঠকে বসে এনসিএমসি। ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি এই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোকপাত করে। আর বৈঠক থেকেই বার্তা দেওয়া হয় যে, এই বিপদের পরিস্থিতিতে আগে এলাকা খালি করা খুব দরকার। প্রসঙ্গত, যোশীমঠে ৫৬০ বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। ঘর ছেড়েছেন ৬৮ টি পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

মঙ্গলবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা জোর দেন নিরাপদে এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে এনে এলাকা খালি করার ওপর। তিনি জোর দেন, যোশীমঠের বিপজ্জনক ইমারতগুলি আগে ভেঙে ফেলার উপর। সেগুলিকে নিরাপদে যাতে ভেঙে ফেলা হয়, তার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে একথা প্রকাশ্যে এসেছে। এছাড়াও ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি বলছে, তারা সমস্ত রকমভাবে চালানো তদন্তের রিপোর্ট পেতে চাইছে সত্ত্বর। জানানো হয়েছে, জিও টেকনিক্যাল, জিও ফিজিক্যাল, হাইড্রোলজিক্যাল তদন্ত যেন খুব শিগগির চালানো হয়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি সকলকে অবহিত করেন। জানান, অত্যন্ত বিপজ্জনক এলাকায় থাকা বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হচ্ছে। তাঁদের নিরাপদ স্থানে আনা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। পিপালকোটি ও যোশীমঠে ত্রাণ শিবির ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও ত্রাণের বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। 

এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ক্যাবিনেট সচিব জোর দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের সমস্ত বাসিন্দাদের সম্পূর্ণ এবং নিরাপদ এলাকায় অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অগ্রাধিকারে। একটি নিরাপদ পদ্ধতিতে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠামো ভেঙে ফেলাকেও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’ জানানো হয়েছে, যোশীমঠ ও তার সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে। অউলি থেকে যোশীমঠের দিকে যাওয়া রোপওয়েও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সিবিআরআই,জিএসআই, ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজি, এনআইডিএম, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজি থেকে বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই ৬ ও ৭ জানুয়ারি এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন।