Joshimath Case in Supreme Court: ‘সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় SC-তে না এলেও হয়’, ধার্য করা হল জোশীমঠ মামলার শুনানির দিন

আগামী সোমবার জোশীমঠ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। জোশীমঠে ভূমিধসের ঘটনায় সুপ্রিম হস্তক্ষেপ চেয়ে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এই শুনানি হবে। যদিও আবেদনকারী স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী দ্রুত এই মামলার শুনানির আবেদন করেছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে আমাদের কাছে নাও আনা হতে পারে। গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই ধরনের সমস্যার জন্য।’ এরপর প্রধান বিচারপতি জানান, ১৬ জানুয়ারি এই মামলাটি শুনবে শীর্ষ আদালত। এদিকে মামলাকারীর আবেদন, ‘মানুষের জীবন এবং তাদের বাস্তুতন্ত্রের মূল্যের থেকে বেশি মূল্যবান হতে পারে না কোনও উন্নয়ন। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের কর্তব্য এখনই এই সব বন্ধ করা।’ (আরও পড়ুন: জোশীমঠে নতুন করে ফাটল বহু বাড়িতে, বাসিন্দাদের অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ সরকারের)

প্রসঙ্গত, হিমালয়ের গাড়োয়াল অঞ্চলে অবস্থিত জোশীমঠের ৬০০টিরও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ধসে পড়েছে মন্দির। পর্যটকদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে এশিয়ার দীর্ঘতম রোপওয়ে। একাধিক হোটেল পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়, ‘পুরনো ভূমিধ্বসের উপর’ তৈরি হয়েছিল চামোলি জেলার এই শহরটি। এই কারণেই বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় জোশীমঠ। এই আবহে একটি বিশেষজ্ঞের দল গঠন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। সেই দলটি গিয়ে ফাটল ধরা বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছে। নির্বিচারে গাছ কাটা ও পাহাড় কেটে নির্মাণকাজের জেরেই আজ এই পরিস্থিতি বলে মত অনের বিশেষজ্ঞর। কেন্দ্রের তরফেও একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।

সরকারি আধিকারিকদের মতে, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে খাদ্য কিট এবং কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। অতিরিক্তভাবে, পরিবার প্রতি ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার জন্য। এখনও পর্যন্ত ৬৮টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ৪৬টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জোশীমঠে এই মুহূর্তে প্রশাসনের ৯টি দল কাজ করছে। ৩ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট এই দলগুলি বাড়ি বাড়ি ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে।