Joshimath disaster: শুধু যোশীমঠ নয়, নৈনিতাল, উত্তরকাশীর অস্তিত্বও বিপদের মুখে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

শুধু যোশীমঠ নয়, নৈনিতাল, উত্তরকাশী আর চম্পাওয়াতও একই বিপদে রয়েছে। বেলাগাম বাড়ি ঘর নির্মাণ ও পর্যটকদের উত্তরোত্তর ভিড়ে এই তীর্থস্থানগুলির অস্তিত্বও এখন বিপদের মুখোমুখি। ২০১৬ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, এই শহরগুলির ৫০ শতাংশ এলাকায় এখনও ভূমিধস হয়‌। বর্তমানে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে এই তীর্থস্থানগুলিতে। সেই ভিড় সামাল দিতে গত দশকের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে হোটেল, লজ, হোমস্টে ও ধর্মশালার সংখ্যা। এমন বেলাগাম নির্মাণের কারণেই এবার এই শহরগুলির ধসের সম্মুখীন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০১৬ সালের সমীক্ষাটির মতে, অতিবৃষ্টির কারণেই নৈনিতালে ভূমিধস হয়। ২০১০ সালের পর এই ভূমিধসের হার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই অঞ্চলে ভূমিধস শুরু হয়েছে বৃষ্টির কারণে‌‌। পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে দেখা যাবে, ১৯৯৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নৈনিতালে দৈনিক বৃষ্টির হার ছিল ৩৩ মিমি। যা ২০১৪ সালে বেড়ে দৈনিক ৬৮ মিমি হয়েছে।

বর্তমানে শহরটির অস্তিত্ব কতটা বিপদে আছে তা বিশ্লেষণ করতে ২০০৯ সালের বালিয়া নালা ভূমিধসের তথ্য কাজে লাগিয়েছিলেন কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ্যার অধ্যাপক বাহাদুর সিং কোটিলা। তাঁর কথায়, যে কোনও ধসের নতিকোণ (স্লোপ) বিপদ মাপার কাজে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ভূমিধসেই খাড়া ঢাল তৈরি হয়েছে। ধসের এই প্রকৃতি যথেষ্ট বিপজ্জনক।

বর্তমানে শিলার প্রকৃতির উপরেই শহরটির ভর নিয়ন্ত্রণের টেকটনিক কাঠামো নির্ভর করছে। এদিন ইন্ডিয়া টুডে সংবাদ সংস্থাকে ডাঃ কোটিলা জানান, ফল্ট লাইন (যে রেখা বরাবর কোনও অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক গঠন বিপজ্জনক) সক্রিয় হওয়ায় উত্তরকাশী, নৈনিতালের মতো শহরগুলি যথেষ্ট ভূমিকম্পপ্রবণ। এছাড়াও গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো বর্তমান সময়ে বেড়ে চলেছে পর্যটক ও নির্মাণের ভিড়। অধ্যাপকের কথায়, যোশীমঠে যে দুর্ঘটনা ঘটছে, সে ঘটনা এই শহরগুলিতে যেকোনও দিন ঘটতে পারে। বরং আরও সহজেই এই অঞ্চলগুলি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কেন্দ্রের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পখরিয়াল নিশাঙ্কের কথায়, উত্তরাখণ্ড তুলনামূলকভাবে নতুন এলাকা। তবে যোশীমঠ, উত্তরকাশী, পিথোরাগড়ের মতো অঞ্চলে আরও বেশি করে ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা হওয়া দরকার। সরকারের এই শহরগুলি নিয়ে আরও ভাবা দরকার‌। এদিকে ভূমিধসের কারণে বিভিন্ন হোটেল ও বাড়িতে ফাটলের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।