Sehla Rashid: সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে টুইট, শেহলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি রাজ্যপালের

আবারও বিপাকে পড়লেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) প্রাক্তন ছাত্রনেত্রী শেহলা রশিদ। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত টুইট করার অভিযোগে শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দিলেন দিল্লির রাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা। দিল্লির গভর্নর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে টুইট করে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেহলা রশিদ বাম সংগঠন আইসার সদস্য হয়েছেন। তিনি জেএনইউ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতিও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছিল পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য ছিল, শেহলা যে টুইট করেছেন তা সমাজে সম্প্রীতি নষ্ট করেছে এবং মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করেছে। গভর্নর অফিস থেকে শেহলার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (১৯৭৩) ১৯৬ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের বাসিন্দা শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব। ওই বছরেই আগস্টে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নিয়ে দুটি টুইট করেছিলেন শেহলা রশিদ। একটিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী রাতে ঘরে ঘরে ঢুকে ছেলেদের তুলে নিচ্ছে, ঘর বাড়ি ভাঙচুর করছে। ইচ্ছাকৃতভাবে রেশন মেঝেতে ফেলে দিচ্ছে এবং চালের সঙ্গে তেল মেশাচ্ছে।’

এই টুইটের পরেই ৪ জনকে শোপিয়ানের সেনা ক্যাম্পে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি নির্যাতন করা হয়েছিল বলে রশিদ অন্য একটি টুইটে অভিযোগ করেন। এর পরে এরপরেই আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এফআইআর দায়ের করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ ছড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, শেহলার বাবা আবদুল রশিদ শোরাকে দেশবিরোধী এবং প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup