Kolkata Best Food Destination: খাবারের সংস্কৃতিতে কলকাতা সারা পৃথিবীতে সেরা ১১-এর তালিকায়,‌ ব়্যাঙ্কিং ইটার-এর

কলকাতার রাস্তাঘাটে খাবারের দোকানের দৃশ্য যাঁদের একটু চোখে পড়েছে তাঁরাই জানেন এর মহিমা। রোজকার অফিস যাওয়া আসার পথেঘাটে অনেকের জন্য এই দোকানগুলিই ভরসা। গত শতাব্দী থেকেই রাস্তার খাবার বলতেই কলকাতার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে চতুর্দিকে।

প্রতিটি শহরেরই নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব থাকে। তেমনই কলকাতার ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও রাজপথ।‌ তবে এর পাশাপাশি কলকাতার খাওয়াদাওয়াও স্বমহিমায় জায়গা করে নিয়েছে শহরের বিশেষত্বে। শুধু দেশ নয় বিদেশের মান্যগণ্য ব্যক্তিত্ব ও অতিথিরাও নানাসময় কলকাতার খাবার চেখে দেখেছেন। তারিফও করেছেন দরাজ গলায়। স্বয়ং ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও চেখে গিয়েছেন ভিক্টোরিয়ার কাছে ফুটপাতের খাবার।

এবার আরেক নতুন শিরোপা জুটল কলকাতার মুকুটে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইটারের তরফে মিলল অভিনব স্বীকৃতি। খাবারের ওয়েবসাইট ইটারের মতে, সারা পৃথিবীর ১১ টি শ্রেষ্ঠ খাবার খাওয়ার গন্তব্যের তালিকায় নাম এল কলকাতার। কলকাতার অসংখ্য মুখরোচক রাস্তার খাবারের পাশাপাশি হোটেল ও রেস্তোরাঁর খাওয়াদাওয়াতে ছড়িয়ে আছে বহুরকমের সংস্কৃতি। চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল থেকে মোগলাই, সাউথ ইন্ডিয়ান, কুইজিনের নাম গুণে শেষ করা মুশকিল।

কুইজিনের পাশাপাশি বাঙালির খাদ্যরসিক মানসিকতাও এগিয়ে দিয়েছে কলকাতার খাবারের ব্যবসাকে। সারাবছরই দেশের অন্যান্য শহরের পাশাপাশি কলকাতায় বিশাল অঙ্কের ব্যবসা করেন হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকরা। বর্তমান সময়ে কয়েক বছর ধরে খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার বিভিন্ন অ্যাপও একইভাবে মুনাফা করছে এই উপায়ে। এবারে তেমনই একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা কলকাতাকে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পরিয়ে দিল। কলকাতার পাশাপাশি তামাকি মাকাউরাউ (নিউজিল্যান্ড), অ্যাশেভিল (উত্তর ক্যারোলিনা), আলবুকার্ক (নিউ মেক্সিকো), গুয়াতেমালা সিটি (গুয়েতেমালা), কেমব্রিজ (ইংল্যান্ড), ডাকার (সেনেগাল), হ্যাল্যান্ড (সুইডেন), সার্ডিনিয়া (ইতালি), ম্যানিলা (ফিলিপাইন) এবং হো চি মিন সিটি (ভিয়েতনাম) শহরগুলিও একইভাবে জায়গা করে নিয়েছে এই তালিকায়। ইটারের কথায়, ২০২৩-এর তালিকা তৈরির সময় শুধুই বিখ্যাত খাবার ও ‘না খেলেই নয়’ এমন তালিকায় চোখ ছিল না। পাশাপাশি যে ধরনের খাবারগুলির পরিবেশ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দিকেও নজর ছিল। বলাই বাহুল্য বাঙালির দীর্ঘদিনের খাদ্য রসিক মনোভাব ও সেই সূত্রে কলকাতা জুড়ে নানারকম কুইজিনের সম্ভার এবার এই বিশেষ খ্যাতি এনে দিল।

 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup