Rajdhani Accident: উত্তরপ্রদেশে দুর্ঘটনার মুখে শিয়ালদহগামী রাজধানী

দিল্লি থেকে শিয়ালদহগামী রাজধানী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মুখে। উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে দুর্ঘটনায় পড়ে ট্রেনটি। তবে ভাগ্যবশত যাত্রীদের কেউ আহত হননি। কিন্তু কীভাবে হল দুর্ঘটনাটি?

সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের ঝিংগুড়ার রেললাইনে বিদ্যুতের খুঁটি ওপড়ানোর কাজ চলছিল। সেই সময় কোনওভাবে ওভারহেডের তার ছিঁড়়ে যায়। ইঞ্জিনের প্যান্টোগ্রাফটিও ভেঙে যায়। এর ফলে ট্রেনটি আটকে যায় মাঝপথে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের কাছে বিকেল ৪টে ৫২ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানেই আচমকা বড় বিপত্তি। ইঞ্জিনের প্যান্টোগ্রাফটি ভেঙে যাওয়ায় আর ট্রেনটি এগোতে পারেনি।

তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, রেললাইনের ধারে থাকা একটি ক্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ট্রেনটির। তখনই ট্রেনের মাথায় থাকা প্যান্টোগ্রাফটি ভেঙে যায়। রেললাইনের ধার থেকে খুঁটি তুলছিল ক্রেনটি। আর তখনই ক্রেনের সঙ্গে ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় প্যান্টোগ্রাফটি ভেঙে যায়। তারপরেই বড় বিপত্তি।

এদিকে সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় ট্রেনটির ইঞ্জিন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টার জন্য এই লাইনের সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে অবশ্য প্যান্টোগ্রাফটি সারানোর পরে ট্রেন চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। ওই লাইনে এরপর নতুন করে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

তবে এর আগেও রেলপথে একের পর এক বিপত্তি দেখা দিয়েছিল। সম্প্রতি ডায়মন্ডহারবারে অল্পের জন্য রক্ষা পায় ট্রেনটি। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার এবং গুরুদাসনগরের মাঝে লালবাটি রেলগেটের কাছে লাইনে ফাটল ছিল। সেই ফাটলের ওপর দিয়ে গেলে ট্রেন বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারত। সেই পরিস্থিতিতে একদল যুবকের তৎপরতায় রক্ষা পায় ট্রেনটি। এদিকে লাইনে ফাটল থাকায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছিল এই রেলপথে। সমস্য়ায় পড়েছিলেন যাত্রীরা। পরে সন্ধ্যা নাগাদ আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয় ওই লাইনে।

এখানেই শেষ নয়, এর আগে সাঁতরাগাছি স্টেশনে আলাদা হয়ে গিয়েছিল ওড়িশাগামী ইস্পাত এক্সপ্রেসের দুটি কামরা। ওই দুই কামরার সংযোগকারী কাপলিং খুলে যাওয়ায় সেই বিপত্তি ঘটে। তবে ট্রেনের গতি কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছিল। যাত্রীদের মধ্যে কেউ হতাহত হননি। পরে ১১ টা ১৫ মিনিট নাগাদ সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে ছেড়ে বেরিয়ে যায় হাওড়া-টিটিলাগড় ইস্পাত এক্সপ্রেস।

স্থানীয় সূত্রে খবর মিলেছিল সকাল ৯ টা ৫ মিনিট নাগাদ হাওড়ার বাকসারা গেটের কাছে ট্রেনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় কামরার সংযোগকারী কাপলিং ভেঙে যায়। আলাদা হয়ে যায় ট্রেনের দুটি কামরা। তার জেরে আচমকা সজোরে আওয়াজ হয়। জোরে ঝাঁকুনি হয় বলে জানিয়েছেন আপ ইস্পাত এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের গতি বেশি ছিল না বলে খবর। সেকারণে বড় বিপত্তি এড়ানো যায় বলে মনে করছেন অনেকে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup