Sultanpuri Case: সুলতানপুরীতে তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড ১১ পুলিশকর্মী

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে সুলতানপুরীকাণ্ডের জেরে ১১ জন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে একথা জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে এক মর্মান্তিক কাণ্ডে চারচাকা গাড়ি নিচে পড়ে যান এক মহিলা, তাঁকে ১২ কিলোমিটার চাকার নিচে হিঁচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। সেই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ১১ জন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

 এর আগে, বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দিল্লি পুলিশকে এক নির্দেশ দেয়। সেখানে বলা হয় সুলতানপুরীর ঘটনায় ১১ জন পুলিশ কর্মীকে কর্তব্যে গাফিলতির জন্য সাসপেন্ড করার কথা। এই পুলিশ কর্মীদের অনেকে পুলিশ কন্ট্রোলরুমে কর্মরত ছিলেন। ঠিক সেই রাতে ওই পুলিশ কর্মীরা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে ছিলেন, যে রাতে ওই তরুণী চারচাকার গাড়ির তলায় পড়ে যান। এরপর ওই চারচাকা গাড়ি ওই তরুণীকে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। ১২ কিলোমিটার রাস্তা পর্যন্ত ওই তরুণীর নিথর দেহ যায়। তার আগে তরুণীর স্কুটিতে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। তখনই তরুণী পড়ে যান চারচাকার নিচে। এমন মর্মান্তিক কাণ্ডে পুলিশের উদাসিনতাকে অনেকেই দায়ী করেন। 

যে পুলিশ অফিসাররা সাসপেন্ড হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, ২ জন সাব ইন্সপেক্টর, চারজন অ্যাসিসটেন্ট ইন্সপেক্টর, ৪ জন হেড কনস্টেবল, ১ জন কনস্টেবল,  ৫ জন পুলিশ কর্মী সেই রাতে ছিলেন পিকেটে, আর ৬ জন ছিলেন কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে। এতটা রাস্তা ধরে টানা একটা গাড়ি এভাবে এক তরুণীকে হিঁচড়ে নিয়ে যায়, তা কোনও পুলিশ কর্মী কেন লক্ষ্য করেননি? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারপরই ওই দিন কর্তব্যে থাকা পুলিশের ১১ জনকে সাসপেন্ড কার নির্দেশ আসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে। 

গোটা ঘটনার ফুটেজ ধরা পড়ে সিসিটিভিতে। অঞ্জলী নামের ওই তরুণীতে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে ৪ জন চালকের একটি গাড়ি। ওই ৪ জনকে পরে পুলিশ গ্রেফতার করে। এদিকে, রোহিনি পুলিশের এই উদাসীনতা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ জনতা। তারপরই পুলিশের স্পেশাল কমিশনার শালিনী সিংকে এরপর গোটা ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে আসে এমন পদক্ষেপ। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup