Nambi Effect: বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, বলছে CBI

মহাকাশ বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছিল। তবে এবার সিবিআই জানিয়ে দিল এই দাবির কোনও সত্যতা নেই। এটা একটা বড় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।

কেরল হাইকোর্টের একটি শুনানিতে সিবিআই জানিয়েছে, গুপ্তচর বৃত্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে নাম্বি নারায়ণের গ্রেফতারি একেবারে আইনবিরুদ্ধ ছিল। ইসরোর মামলায় তাঁকে অভিযুক্ত করার বিষয়টি একেবারে অতিরঞ্জিত।

এদিকে গ্রেফতারের আগে নারায়ণন ছিলেন ইসরোর প্রপেল্যান্ট ইঞ্জিন সংক্রান্ত বিজ্ঞানী। এদিকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই জানিয়েছে, একটি কেস ডায়েরি তাঁরা প্রকাশ করবেন যেখানে জানিয়ে দেওয়া হবে নাম্বির আটক করার ঘটনা ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।

১১৯৪ সালের ইসরোর গুপ্তচর বৃত্তির মামলায় বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এনিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন সংক্রান্ত ব্যাপারে কেরল হাইকোর্টে শুনানি চলছিল।

এদিকে নাম্বি নারায়ণন ছিলেন ইসরোর বিখ্য়াত বিজ্ঞানী। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ উঠেছিল। তিনি ভারতের সাইক্রোজেনিক ইঞ্জিন টেকনোলজিকে পাকিস্তানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। মলদ্বীপের কোনও নাগরিকের মাধ্যমে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। 

এদিকে সিবিআই আদালত ও সুপ্রিম কোর্টে মুক্তি পাওয়ার পরেও তাঁকে ইসরোর সহকর্মী ডি শশীকুমার সহ আরও চারজন অভিযুক্তের সঙ্গে তিনি প্রায় ৫০দিন জেলে কাটান।

এদিকে ওই রকেট বিজ্ঞানী একাধিক বইতে উল্লেখ করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ইসরো মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর সঙ্গে একযোগে ষড়যন্ত্র করেছিল যাতে ভারতের মহাকাশ গবেষণাতে বিলম্ব করা যায়।

দুজন আইবি আধিকারিক তাঁকে ইসরোর বসের নাম বলার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। তিনি না বললে তাঁকে জেলে অত্যাচার করা হয়। যার জেরে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এমনটাই দাবি করেছিলেন নাম্বিয়া।

এদিকে নাম্বি নারায়ণনকে নিয়ে সিনেমাও হয়েছে। আর মাধবন পরিচালিত-প্রযোজিত-অভিনীত ছবি ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি ইফেক্ট’ সারা দেশে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভালো ব্যবসাও করেছে। যা বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনের বায়োপিক বলেই মনে করা হয়। তবে এই সিনেমায় দেখানো তথ্য নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠছে।

ইসরোর এলপিএসই-র ডিরেক্টর মুথুনায়গম, ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের ডেপুটি ডিরেক্টর শশীকুমারন ও আরও কিছু বিজ্ঞানী মিলে অভিযোগ তুলেছেন যে, নাম্বি নারায়ণন ইসরো এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীদের মানহানি করছেন। তিনি সিনেমাতে যেভাবে দাবি করেছেন যে তিনি একাধিক প্রকল্পের জনক, তা ভুল। এমনকী সিনেমাতে যে দেখানো হয়েছে তিনি একবার ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের ভ্রম সংশোধন করেছিলেন সেটাও সর্বৈব ভুল।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup