‘ইচ্ছাকৃত দ্বৈত ভোটার হতে পারে ক্রিমিনাল মামলা’ | BD24Live.com

প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩

ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনার(ইসি) মো.আলমগীর বলেন,ইচ্ছাকৃতভাবে দ্বৈত ভোটার হলে‘শাস্তি অনেক কঠিন শাস্তি। তার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা হবে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

ইচ্ছাকৃতভাবে দ্বৈত ভোটার হওয়া অপরাধ জানিয়ে এই তিনি বলেন, ‘শাস্তি অনেক কঠিন শাস্তি। তার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা হবে। ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা যাবে পাশাপাশি জেল খাটতে হবে। ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকা ভিত্তি ধরা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে একটা সময় থাকে। সেই সময়ের মধ্যে ভোটার হলে তারাও অন্তর্ভুক্ত হবে।’

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘খসড়া দেয়া হলো। প্রতিবছর মার্চ মাসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করি। এবারও তাই হবে। যদি কারো কোনো আপত্তি থাকে। তারা আপত্তি দিবেন। ত্রুটি থাকে তাহল সংশোধনের জন্য আবেদন করবেন। পরে আমরা চূড়ান্ত করে ভোটার দিবসে প্রকাশ করবো।’

হালনাগাদে মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। মৃত ভোটার কর্তন করার পর দেশে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১১২ জন। মহিলা ভোটার ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন।এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন।

চলতি বছরের ২০ মে থেকে গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্ব ঘোষিত সময় (১৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী প্রকাশ করা। এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন কারো কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান।

এক্ষেত্রে দাবী, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ দাবী, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় থাকছে ১৬দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তি করবে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২ মার্চ।

দাবী, আপত্তি ও সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি উপজেলা/থানার ভোটার এলাকার জন্য ক্ষেত্রবিশেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সিটি কর্পোরেশন ও ফ্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)/ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং কতিপয় বিশেষ এলাকার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা)-কে সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ (রিভাইজিং অথরিটি) নিয়োগ করা হয়েছে। চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ব্যয ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা আগেরবারে চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালানাগাদ কার‌্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে পাঁচবার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল ও ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।

তুহিন/সাএ