Jhargram Incident: ঝাড়গ্রামে গোয়েন্দা–শিক্ষিকার বাড়িতেই সিঁদ কাটল চোর, কী চুরি করে চম্পট দিল?

একদিকে গোয়েন্দার বাড়ি। অন্যদিকে শিক্ষিকার বাড়ি। আর তাঁদের ঘরেই সিঁদ কাটল চোর! শুক্রবার মাঝরাতে ঝাড়গ্রাম শহরের দু’টি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। খোদ আইবি’র আধিকারিকের বাড়িতে চুরি হওয়ায় গোটা ঝাড়গ্রামে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন গোয়েন্দা আধিকারিক। ছেলের চিকিৎসার জন্য এখন চেন্নাইয়ে গিয়েছেন। আর তার সুযোগ নিয়ে চোরেরা দরজার তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে লুটপাট চালায়।

এদিকে অন্য বাড়িটি এক শিক্ষিকার। প্রায় একই সময়ে তাঁর বাড়িতেও চুরি করে চম্পট দেয় চোরেরা বলে অভিযোগ। এই দু’টি চুরির ঘটনাই ঘটেছে ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোড়াধরা এলাকায়। শহরে একের পর পর চুরির ঘটনায় আতঙ্কে পড়ে গিয়েছেন শহরবাসী। তার উপর খোদ গোয়েন্দা আধিকারিকের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ অন্যদিকে এই দু’টি চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। এই বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার বলেন, ‘দু’টি চুরির ঘটনা নজরে এসেছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দেহজনক বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। ’ পুলিশ সূত্রে খবর, চোরেরা প্রথম হানা দেয় শাশ্বতী বসু ঘোষ নামে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে। তিনি ঝাড়গ্রামের ননীবালা হাইস্কুলের বায়ো সায়েন্সের শিক্ষিকা। তাঁর বাড়ির জানালা কেটে চোরেরা ঢোকে।

কী জানাচ্ছেন শিক্ষিকা শাশ্বতীদেবী?‌ পুলিশকে শাশ্বতীদেবী জানিয়েছেন, ঠাকুর ঘরে থাকা দু’টি আলমারি ভেঙে চোরেরা প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বেশি নগদ নিয়ে পালিয়েছে। শিক্ষিকার স্বামী সুব্রত ঘোষ ঠাকুর ঘরে গিয়ে চুরির বিষয়ে টের পান। সেখানে পৌঁছয় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। শাশ্বতীদেবী বলেন, ‘অনেক রাত পর্যন্ত বই পড়ে আমি ঘুমোতে যাই। সকালে উঠে দেখি ঠাকুর ঘর লণ্ডভণ্ড। ভাঙা অবস্থায় পড়ে আলমারি। তাতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ছিল। চোরেরা জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকেছিল।’

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই পাড়াতেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন আইবি’র আধিকারিক। এখানে গোয়েন্দার বাড়িতেও চুরি করেছে চোরেরা। তাঁর বাড়ির সদর দরজার নীচে তালা পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরা দেখেন ঘরের ভিতরের জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজিত মাহাত দু’টি বাড়িতেই যান। তিনি বলেন, ‘ঝাড়গ্রাম থানায় বিষয়টি জানিয়েছি। এই ধরনের ঘটনা আর যাতে না হয় সে দিকে নজর দিতে হবে।’