Kolkata: করোনা কাটতেই হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

গত দুবছর করোনা পর্বে শীতকালে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা সেভাবে বাড়তে দেখা যায়নি। তবে করোনা অতিমারী কাটতেই এবার শীতে দূষণ বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরের হাসপাতালগুলিতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যাও প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা এক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি। এরমধ্যে অনেকেই ভর্তি রয়েছেন আইসিইউ’তে। মূলত বাতাসে দূষণের মাত্রা বেশি থাকার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ), হাঁপানি প্রভৃতি সমস্যা নিয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে এই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, শীতকালে শ্বাসকষ্টজনিত রোগগুলি সাধারণ বিষয়। কারণ এই সময় বাতাসে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি ভাইরাসের বিকাশ ঘটতে থাকে। তবে, মহামারী চলাকালীন এই ধরনের রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছিল। কারণ সেই সময় মানুষজন ঘরের ভিতরেই বেশি থাকতেন এবং মাস্ক ব্যবহার করতেন। তাছাড়া কম দূষণের ফলে বাতাসের গুণমানও অনেকটাই উন্নত হয়েছিল। সিএমআরআই-এর পরিচালক (পালমোনোলজি) রাজা ধর বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে আইসিইউ’তে রোগীর সংখ্যা তিন সপ্তাহ ধরে বাড়ছে ৷ যারা ভর্তি হচ্ছেন তাঁরা মূলত হাঁপানি এবং সিওপিডির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। গত দুবছর করোনা পর্বে তা অনেকটাই কম ছিল। তবে এ বছর তা অনেকটাই বাড়ছে।’

অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের পালমোনোলজিস্ট দেবরাজ যশ বলেন, ‘আইসিইউতে থাকা প্রায় ৭৫ শতাংশ রোগী হলেন প্রবীণ নাগরিক।’ দূষণ বাড়লে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। ফোর্টিস হাসপাতালের পালমোনোলজিস্ট সুস্মিতা রায় চৌধুরী জানান, ‘অতিমারী চলাকালীন শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত রোগীরা উল্লেখযোগ্যভাবে ভাল ছিলেন। তবে এখন দূষণ বাড়ায় বর্তমানে আমাদের হাসপাতালের জরুরি, ওপিডি এবং আইপিডি শ্বাসকষ্টজনিত রোগীতে ভর্তি।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup