Padatik Express: অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রেহাই, পদাতিক এক্সপ্রেসে ধোঁয়া

সেই জানুয়ারিতেই উসকে উঠল ময়নাগুড়ি রেল দুর্ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি। এবার বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেল পদাতিক এক্সপ্রেস। শিয়ালদা থেকে নিউ আলিপুরদুয়ারের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। এমন সময়ই ভয়াবহ বিপত্তি। সূত্রের খবর রবিবার ট্রেনের এসি কোচের নীচে আগুনের স্ফুলিঙ্গ চোখে পড়ে। গেটম্যানের নজরে আসে বিষয়টি। এরপরই আর কোনও ঝুঁকি নেননি তিনি। মেখলিগঞ্জের কাছে জামালদহ গোপালপুর স্টেশনে ঢোকার মুখেই এই ঝলকানি দেখতে পাওয়া যায়। তারপরই দ্রুত ট্রেনটিকে দাঁড় করানো হয়। এরপরই ট্রেনটিকে প্রয়োজনীয় মেরামতি করা হয়। মূলত ক্ষতিগ্রস্ত কামরাটিকে সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টা চারেক ধরে এই কাজ চলে। তারপর ফের গন্তব্যের দিকে নিরাপদেই রওনা দেয় ট্রেনটি।

তবে রেল সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতির জেরে কোনও যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কেউ জখমও হননি। তবে বিষয়টি জানার পরেই দ্রুত এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রেল সূত্রে খবর, গেটম্যানের নজরে বিষয়টি এসেছিল। তারপরই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে যাত্রী কম থাকায় বড় কোনও সমস্যা হয়নি।

সূত্রের খবর, সাধারণত এই ট্রেনটির বেশিরভাগ যাত্রীই এনজেপিতে নেমে যান। তবে তারপরেও কিছু যাত্রী থাকেন ট্রেনে। তাঁরা পরবর্তী স্টেশনগুলিতে নামেন। নিউ আলিপুরদুয়ারের দিকে ট্রেনটি যাচ্ছিল। সেই সময়ই দুুপুর ১টার কিছু আগে বগির নীচে আগুনের স্ফূলিঙ্গের বিষয়টি নজরে আসে। তারপরই দ্রুত এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গেটম্যান বিষয়টি জানতে পেরেই তিনি স্টেশন মাস্টারকে বিষয়টি জানান। এরপরই দ্রুত ট্রেনটিকে জামালদহ, গোপালপুর স্টেশনে দাঁড় করানো হয়।

এদিকে আচমকা ট্রেনটি থেমে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। পরে বোঝা যায় বগির নীচে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। পরে ধোঁয়াও দেখা যায়। দ্রুত যাত্রীরা এরপর কামরা থেকে নেমে পড়েন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রেল কর্মী, আধিকারিকরা ছুটে আসেন। যাত্রীদের একে একে অন্য় কামরায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু গোটা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে কামরাটিকে আলাদা করতে গিয়ে অনেকটা সময় কেটে যায়।

এদিকে গত বছর জানুয়ারি মাসে ময়নাগুড়ির দোমোহনির কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল বিকানির -গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। এবারও ঠিক জানুয়ারিতেই অল্পের জন্য রক্ষা পেল পদাতিক। তবে সৌভাগ্যবশত যাত্রীদের মধ্য়ে কেউ হতাহত হননি। তবে তাঁদের কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে।

এদিকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার জন্য অনেকেই পদাতিক এক্সপ্রেসের উপর নির্ভরশীল থাকেন। শিয়ালদা থেকে প্রচুর পর্যটক উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার জন্য এই ট্রেনে ওঠেন।