বিএসএফের উপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেল বাংলাদেশে, অস্ত্র ছিনতাই নদিয়া সীমান্তে

বাংলাদেশি দুষ্কৃতীর হামলা বিএসএফ জওয়ানের উপর। তার মাথায় সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের কোপ মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর বিএসএফ জওয়ানের অস্ত্রও ছিনতাই করা হয়েছে। আহত জওয়ানের নাম রামপ্রতাপ। নদিয়ার কৃষ্ণনগর সংলগ্ন হাটখোলা ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

এদিকে ঘটনার পরে বিজিবির সঙ্গে ফ্ল্য়াগ মিটিং হয় বিএসএফের। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

সূত্রের খবর, সীমান্ত এলাকায় পাহারায় ছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা। এমন সময় দেখা যায় সীমান্ত সংলগ্ন মাঠে ঘোরাফেরা করছে এক ব্যক্তি। এনিয়ে জানতে চান তিনি। এরপরই বিএসএফ জওয়ানের সঙ্গে ওই ব্যক্তির বচসা বেঁধে যায়। আচমকাই জওয়ানের উপর চড়াও হয় ওই ব্যক্তি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তার মাথাতে গভীরভাবে ক্ষত তৈরি হয়েছে। এরপরই পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। জওয়ানকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চাপড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়।

এদিকে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়। তবে বাংলাদেশ থেকেই সে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে হামলা চালিয়ে ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই মনে করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজিবির তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে ও ছিনতাই হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও হামলার মুখে পড়েছিল বিএসএফ। সম্প্রতি মাদক পাচারকারীকে ধরতে গিয়ে বাগদার নওদা পাড়ায় বিএসএফের উপর হামলা হয়েছিল। লাঠি পাথর নিয়ে বিএসএফের উপর হামলা হয়েছিল বলে খবর। সূত্রের খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এক পাচারকারীকে ধরতে গিয়েছিলেন বিএসএফের জওয়ানরা। আর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আনার পথে মামা ভাগিনা এলাকায় তাদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।

সূত্রের খবর, অভিযুক্ত আলমগীর মণ্ডল নামে এক দুষ্কৃতীকে খুঁজছিল নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। গোপন সূত্রে বিএসএফের কাছে খবর আসে, তার বাড়িতে মাদক মজুত করা আছে। আরও দুটি বাড়িতে মাদক মজুত করা ছিল বলে অভিযোগ। এরপরই কোম্পানি কমান্ডার বাগদা থানায় খবর দেন। তারপর রাতে তল্লাশিতে নামেন জওয়ানরা। আলমগীরের বাড়ি থেকে ৪৩ কেজি গাঁজা ও ৩৭১ বোতল ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করা হয়।