যাতায়াতের পথে ছাত্রীদের সামনে লুঙ্গি তুলত যুবক, ধরা পড়েও মুখে হাসির ঝিলিক

কোচবিহারের মাথাভাঙা। হাই মাদ্রাসার চৌপথি দিয়ে রোজই স্কুলে যায় ছাত্রছাত্রীরা। আর সেই যাতায়াতের পথেই দাড়িয়ে থাকত মূর্তিমান এক যুবক। পরনে লুঙ্গি। আর ছাত্রীদের দেখলেই লুঙ্গি তুলে ফেলত সে। একদিন দুদিন নয়। এটাই যেন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অভিযোগ এমনটাই। এদিকে আতঙ্কে ছাত্রীরা সেই রাস্তা দিয়ে যেতে চাইত না। কিন্তু স্কুলে যেতে গেলে ওই রাস্তা দিয়েই যেতে হত তাদের।

এদিকে মঙ্গলবারও ওই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল ছাত্রীরা। আর এদিনও স্থানীয় লোকজন দেখেন, সিরাজুল মিঁয়া নামে ওই যুবক ওই ধরনের আচরণ করছে। আর তারপরই তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন বাসিন্দারা। এরপরই শুরু হয় গণপিটুনি। রীতিমতো তাকে বেঁধে ফেলেন বাসিন্দারা। তারপর শুরু হয় মারধর। পরে পুলিশ ওই যুবককে আটক করে।

এদিকে দেখা যায়, ওই যুবক মাটিতে পড়ে রয়েছেন। এরপর আর তার দিকে ক্য়ামেরা ঘোরাতেই দেখা যায় তার মুখে হাসির ঝিলিক। এটা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই।

কিন্তু ওই যুবক কেন এভাবে লুঙ্গি তুলে গোপনাঙ্গ দেখাত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বাসিন্দাদের দাবি, এদিনই প্রথম নয়। এর আগেও ওই যুবক ওই কান্ড ঘটিয়েছে। সে মাঝেমধ্যেই স্থানীয় মেয়েদের পথ আটতে দাঁড়াত। এরপর নানাভাবে উত্যক্ত করত সে। এমনকী স্কুলের গাড়িও আটকে দিত সে। এরপর শুরু হত অঙ্গভঙ্গি। স্কুলে যাতায়াতের পথে যেন আতঙ্ক তাড়া করত ছাত্রীদের। ওই পথ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত তারা। তবে এদিন কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে তারা।

বাসিন্দাদের দাবি, শুধু স্কুলের যাতায়াতের পথে নয়, ভোরবেলাতেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকত ওই যুবক। তখন টিউশানি পড়তে যেত ছাত্রীরা। আর তাদেরও পথ আটকে দাঁড়াত সে। এরপর ফের শুরু হত লুঙ্গি তুলে অঙ্গভঙ্গি। কোনওরকমে আতঙ্কে ছাত্রীরা ছুটতে শুরু করত। এদিনও স্কুলের গাড়ি আটতে সে নানা অশ্লীল ভঙ্গি করছিল ও কুকথা বলছিল বলে অভিযোগ।

তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার মানসিক কোনো সমস্য়া রয়েছে কি না সেটাও দেখা দরকার। অন্য়দিকে এভাবে কাউকে গণপিটুনি করাটাও আইনসম্মত নয়।

তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের চোখে কেন ওই যুবকের আচরণ এতদিন চোখে পড়েনি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় মাথাভাঙায় ছাত্রীদের সুরক্ষা নিয়েও নানা কথা উঠতে শুরু করেছে।