How to keep mind happy and joyful: হাসিখুশি থাকা বড় দায়, জানেন কীভাবে রোজ হাসিখুশি থাকা যায়? রুটিনে এই বদল আনুন

যদি কখনও একটি খারাপ অভ্যাস ছাড়ার চেষ্টা করেন তবে ভাল করেই জানবেন তা কতটা কঠিন। আসলে ভালো অভ্যাসগুলি নিজেদের মধ্যেই গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। তেমনই ভালো থাকার জন্য আমরা কতকিছুই না করি। মাঝে মাঝেই বাইরে খাওয়াদাওয়া করি। বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যাই বা পছন্দের ওয়েব সিরিজ দেখি। কিন্তু রোজ কী করে হাসিখুশি থাকা যায়, তাই নিয়ে অনেকেই ভাবেন। বিশেষজ্ঞদের কথায়, রোজকার কাজের চাপের মধ্যেও ভালো থাকা সম্ভব। এর জন্য রুটিনে কিছু ভালো অভ্যাস রাখা জরুরি।

হাসিখুশি থাকা: আপনি যখন খুশি হন, তখন হাসিমুখে থাকেন। এই হাসি দিয়েও মন ভালো রাখা যায়। আমরা যখন আনন্দ পাই, তখন আমাদের মস্তিষ্ক ডোপামিন নিঃসরণ করে। এর ফলে আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। প্রতিদিনের রুটিনের এমন অনেক ঘটনাই ঘটে যখন আমরা মন খারাপ করে ফেলি। সেই সময় মুখে হাসি ধরে রাখাটা খুব জরুরি। এর জন্য রোজ সকালে একবার করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখুন ও হাসার চেষ্টা করুন। এতে সারাদিন কাজ করার জন্য একটি পজিটিভ শক্তি পাবেন আপনি।

নিয়মিত ব্যায়াম: মানসিক চাপ, অবসাদ, বিষণ্নতা, দুশ্চিন্তা ও অতিরিক্ত উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম করা তাই মন ভালো রাখার জন্য একান্ত জরুরি। রোজ সকালে ২০ থেকে ৩০ মিনিট নিয়মিত ব্যায়াম করলে সারাদিনের কাজ করার জন্য অনেকটা শক্তি পাওয়া যায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম: বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে অন্তত ৭ ঘন্টা ঘুম জরুরি। এতে শরীরের স্ট্রেস অনেকটাই কমে যায়। রোজকার কাজের চাপ থেকে মন ও শরীরে প্রচুর স্ট্রেস তৈরি হয়। এই স্ট্রেস না কমালে মন ভালো রাখা মুশকিল। তাই রোজ নিয়ম করে অন্তত ৭ ঘন্টা ঘুমোন।

খাওয়াদাওয়া: রোজ হাসিখুশি থাকতে হলে খাওয়াদাওয়ার মধ্যেও কিছু বদল আনা জরুরি। খুব অল্প পরিমাণ হলেও কার্বোহাইড্রেট আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন। কার্বোহাইড্রেট সেরোটোনিন হরমোন নিঃসরণ করে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এটি একটি মন ভালো করার হরমোন। এছাড়াও ফ্যাটহীন মাংস, হাঁস-মুরগি, শিম এবং দুগ্ধজাত খাবারে প্রোটিন বেশি থাকে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডোপামিন এবং নোরপাইনফ্রিন নিঃসরণ করে। তাই রোজকার খাবারে এই প্রোটিনগুলিও যেন থাকে।