Mamta Mohandas suffering from vitiligo: দক্ষিণী তারকা মমতা আক্রান্ত শ্বেতী রোগে, কেন এই রোগ হয়? কীভাবে সারবে

প্রথমে দেখা গিয়েছিল সামান্থা প্রভুর ত্বকে, এবারে মমতা মোহনদাস! শ্বেতীর কারণে ত্বকের রঙ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে তারও। সম্পতি সমাজ মাধ্যমে নিজের স্বাস্থ্যের খবর দিতে গিয়ে মালায়ালাম অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ভিটিলিগো নামের অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত তিনি। এর প্রভাবে ক্রমে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে‌ তাঁর ত্বক। সেই ছবি দিয়েই মনখারাপের পোস্ট করেন অভিনেত্রী। বর্তমানে তাঁর কেরলে চিকিৎসা চলছে। বেশ কিছু বছর ধরে দুরারোগ্য ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে চলেছেন মমতা। ২০১০ সালে অভিনেত্রীর লিম্ফ্যাটিক ক্যানসার ধরা পড়ে। সেই নিয়ে প্রাণপণ লড়াই শেষ হতে না হতেই ফের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। এ বার সে লড়াই আরও বেড়ে গেল। রোগের তালিকায় নতুন নাম ভিটিলিগো যুক্ত হল। তবে এটি ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগ নয়। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে মায়োসাইটিস রোগে আক্রান্ত হন দক্ষিণী তারকা সামান্থা প্রভু। কর্মজগৎ থেকে আপাতত বিরতি নিয়ে চিকিৎসাধীন তিনি। বর্তমানে শ্বেতী বা ভিটিলিগো-তে আক্রান্তের হার অধেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, শ্বেতী বা ভিটিলিগো কী? কীভাবে এর প্রতিকার সম্ভব

শ্বেতী কেমন রোগ?

ত্বকের স্বাভাবিক রঙ ঠিক রাখতে ত্বকের নিচে মেলানোসাইট কোষে থাকে। এর মধ্যেই থাকে মেলানিন। শরীরে মেলানিনের ভারসাম্য নষ্ট হলে শ্বেতী রোগটি দেখা দেয়। বংশগত কারণেও এটি হতে পারে। এছাড়াও ত্বকে মেলানিনের তারতম্য হলে এই রোগ হয়। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত।

কোথায় রোগটি হয়?

মূলত মুখের ত্বক, হাত, কনুই, চোখের আশেপাশের এলাকাগুলিতে রোগটি দেখা দিতে শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে নাকের দু’পাশ ও ঠোঁটের আশেপাশেও ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। যতদিন যায় ত্বক ক্রমে ফ্যাকাশে হয়ে যেতে থাকে। ত্বকের আগের স্বাভাবিক রঙ একেবারে হারিয়ে যেতে থাকে।

শ্বেতীর লক্ষণ কী কী?

ভিটিলিগো শরীরে বাসা বাঁধলে প্রথমেই ত্বকের উপর সাদা দাগের লক্ষণ দেখা দিতে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে মাথার চুল, চোখের পাতা, ভ্রু সাদা হয়ে যায়। মেলানিনের অভাবে চোখের ভিতরের অংশও ক্রমশ বর্ণহীন হতে থাকে।

শ্বেতীর চিকিৎসা কীভাবে হয়?

খুব ছোট এলাকা জুড়ে শ্বেতী হলে চিকিৎসকের দেওয়া মলম বা ওষুধে তা সেরে যায়। তবে দীর্ঘদিন চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হয়। তবে অনেকটা এলাকা জুড়ে শ্বেতী ছড়িয়ে পড়লে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা চলে। এই অস্ত্রপচারকে পাঞ্চ গ্রাফটিং বলে। তবে এটি বেশ খরচের ব্যাপার।