যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ডিউটি ফ্রি তুলা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের প্রায় ৮২ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রফতানি করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহৎ তুলা উৎপাদনকারী দেশ। তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানি করে। রফতানি বেশি হলে বেশি পরিমাণ তুলা আমদানি করতে হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৃহৎ রফতানি বাজার। তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যবহারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তুলা আমদানিতে ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে আমাদের এই শিল্পের জন্য সুবিধা হয়।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকায় হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘চতুর্থ গ্লোবাল কটন সামিট বাংলাদেশ-২০২৩’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে চলমান তৈরি পোশাক রফতানি করতে বাংলাদেশের ৯ মিলিয়ন বেল্ট তুলার প্রয়োজন হয়। এর মাত্র এক লাখ ৫০ হাজার বেল্ট তুলা দেশে উৎপাদন হয়, যা মোট চাহিদার প্রায় ১ দশমিক ৬ ভাগ। বাকি বিপুল পরিমাণ তুলা বাংলাদেশকে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ দেশেই তুলা উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে আরও প্রচেষ্টা চালানো হবে। এ উৎপাদন দ্বিগুণ হলেও বিপুল পরিমাণ তুলা বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। এক্ষেত্রে তুলা আমদানিতে ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানি করতে চাইলে বিপুল পরিমাণ তুলার প্রয়োজন হবে। তুলার উৎপাদন বাংলাদেশে কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বসে আলাপ আলোচনা করে ঠিক করা হবে। কম্বোডিয়ার মতো পৃথিবীর অনেক দেশে জমি অব্যবহৃত থাকে। সেখানে মানুষ কম, চাষাবাদের প্রয়োজন হয় না। আমাদের দেশে দক্ষ জনবল আছে। এ ধরনের জমি লিজ নিয়ে যদি সেখানে তুলা উৎপাদন করে দেশে আনা যায়, তা দিয়ে তুলার প্রয়োজনীয় চাহিদা আমাদের পূরণ করা সম্ভব।’

বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আইয়ুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র  দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা ফেভ,  ঢাকাস্থ ব্রাজিল দূতাবাসের অ্যাম্বাসেডর পাউলো ফারনানদো ডায়াস ফেরিস, ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান  হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট ফারুক হোসেন।