আদালতের ওপর প্রভাব খাটিয়ে বেআইনিভাবে মামলা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে: অম্বিকেশ মহাপাত্র

ব্যঙ্গচিত্রকাণ্ডে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি জানিয়েছেন, এই মামলায় নিম্ন আদালতের ওপর চাপ তৈরি করা হয়েছিল। তবে কে বা কারা চাপ তৈরি করেছিলেন তা জানাননি তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আদালতের নির্দেশনামা প্রকাশ করে অম্বিকেশবাবু জানান, ১১ বছর লড়াইয়ের পর কার্টুনকাণ্ডের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। এর পর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক জানান, ‘পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করার আগে তৃণমূলের গুন্ডারা নিউ গড়িয়া সমবায় আবাসনের অফিসে মারধর করেছিল, হুমকি দিয়েছিল, অকথ্য গালাগাল করেছিল। তারাই পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছিল। 

সেই মামলা এতদিন ধরে নিম্ন আদালতে চলার কথা নয়। কারণ যে ধারায় চার্জশিট দাখিল করেছিল সেই ধারা ২০১৫ সালে বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল এই ধারায় যেখানে যত মামলা রয়েছে তা ক্লোজ করতে হবে। তার পরও প্রভাব খাটিয়ে নানা অছিলায় বেআইনিভাবে মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রভাবটা কোথা থেকে আসছিল, কী ভাবে আসছিল জানি না। ২০২১ সালে আলিপুর ফৌজদারি আদালত একটা অদ্ভূত রায় দেয়, তখন আমাকে ধারা থেকে নিষ্কৃতি দিলেও মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেয়নি আদালত।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কার্টুন তৈরি বা শেয়ার করা অপরাধ নয়। আমি জানতাম কোনও অপরাধ করিনি। যারা আমাকে মারধর করেছে, গালিগালাজ করেছে অপরাধ করেছে তারা।’

ব্যাঙ্গচিত্র তৈরি করা বা শেয়ার করা আমাদের দেশে কোনও অপরাধ নয়। তাই জানতাম আমি কোনও অপরাধ করিনি। কিন্তু তার পরেও ১১ বছর শাসকদলের মদতে আমার মামলাটা ঝুলিয়ে রাখা হল।