জবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে হাতাহাতি, সাংবাদিক হেনস্তা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাংবাদিক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজির অনুসারী ইমরুল নিয়াজের সঙ্গে এক নবীন শিক্ষার্থীকে নিয়ে হাতাহাতি হয়। তখন দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিক রিদুয়ান ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের অনুসারীদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক রিদুয়ান ইসলাম জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী পরিসংখ্যান বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলম ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানিম ফারহান তাকে ধাক্কা দিয়ে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং হেনস্তা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় শাহিন আলম ও তানিম ফারহান আমাকে এসে ধাক্কা দেয়। হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং অনবরত ধাক্কা দিতে থাকে।’

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, ‘এটা একটা ভুল-বোঝাবুঝি ছিল। সে যে সাংবাদিক, ছেলেরা তাকে চিনতে পারেনি। আর আমরা নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে দেবো সামনে যাতে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ করে।’

সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজি বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় সেখানে ছিলাম। সাংবাদিককে চিনতে পারেনি, সে জন্য ভিডিও করার সময় এমন ঘটনা ঘটেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সে জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য আমরা সব সময়ই কর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে থাকি।’

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, এমন ঘটনার মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করছে ছাত্রলীগ।

এর আগে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক বিএনপি নেতা ইশরাক হোসাইনের ওপর হামলার ঘটনার সময়ও পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চার সাংবাদিকের ওপর হামলা করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।