E–Auction of Land: টলিগঞ্জের বিএল সাহা রোডের জমি ই-নিলামে দর উঠল ২৩০ কোটি টাকা

আলিপুর, রাজারহাটে জমি সফলভাবে ই-নিলামের পর এবার টলিগঞ্জের বিএল সাহা রোডে জমি ই-নিলাম হল। হিডকোর তরফে টলিগঞ্জের বিএল সাহা রোডে প্রায় ৭.৪ একর জমির ই-নিলাম করা হয়েছে। এখানে প্রতি একর জমির দাম প্রাথমিকভাবে ১৭ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। সেই হিসেবে এই জমির মোট দাম প্রাথমিকভাবে ১২৫ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছিল। তবে মুম্বই ভিত্তিক একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থা এই জমির জন্য ২৩০ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়েছে। অর্থাৎ একর প্রতি এই জমির দাম হচ্ছে প্রায় ৩১ কোটি টাকা।

রাজ্য সরকার আবাসিক বা বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স তৈরির জন্য প্লটটি ৯৯ বছরের লিজ দেওয়া হবে। এমনকি পরবর্তী সময়ে সরকার প্লটটির পুনর্নবীকরণ বা লিজের মেয়াদ ৯৯ বছরেরও বেশি সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সরকারের জমি বরাদ্দ নীতি অনুযায়ী কিছু শর্ত থাকবে। যেহেতু ওই জমিটি খুব ভালো জায়গায় ছিল তাই অনেক সংস্থায় নিলামে এগিয়ে এসেছিল। মুম্বইয়ের ওই সংস্থাটি সবচেয়ে বেশি দাম দিতে রাজি হয়েছে। উল্লেখ্য, আলিপুরের ওই প্লটের দাম উঠেছিল ৪০০ কোটি টাকা। জমির পরিমাণ ছিল ৫.৭ একর। সরকারি অনলাইন নিলামে ওই দর হেঁকেছিল মুম্বইয়ের রিয়েল এস্টেট জায়েন্ট ‘‌দ্য ফিনিক্স মিলস লিমিটেড।’ ওই জমি কেনার জন্য তারা একর প্রতি প্রায় ৭১ কোটি দাম দিয়েছিল। যা কলকাতায় এপর্যন্ত সর্বোচ্চ। আলিপুরের জাজেস কোর্ট রোডের ওই প্লটটি ৯৯ বছরের জন্য লিজে আবাসিক বা বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স তৈরি করতে পারবে সংস্থাটি। সেই সরকারের ‘‌আলিপুর গ্রিন সিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে’‌র অংশ। এরপরেই এই বছরের শুরুতে রাজারহাটে একটি আবাসন প্রকল্পের জন্য ৬.২ একর জমির জন্য ২০৩ কোটি টাকার দর পেয়েছে হিডকো।

এছাড়া, গত মাসে অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপ ইএম বাইপাসের কাছে নোনাডাঙ্গার চৌবাগা এলাকায় ১০ একর জমির জন্য ২৬০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে টালিগঞ্জের ওই জমির জন্য যতটা দাম ধার্য করা হয়েছিল তার চেয়ে দ্বিগুণ দাম পাওয়ায় খুশি সরকারি আধিকারিকরা।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup