N‌ausad Siddiqi: নৌশাদের জন্য প্রাণ কাঁদল সিপিএমের, লালবাজারের দরজায় কড়া নাড়ার সিদ্ধান্ত

একুশের নির্বাচনের আগে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে মাখামাখি করে সিপিএমের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি অনেকটা খোয়া গিয়েছে। দলের অন্দরেই এই নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তারপর ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেই চলছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের পক্ককেশধারীরা। এবার কলকাতার বুকে তাণ্ডব করে একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি এখন পুলিশ হেফাজতে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে প্রাণ কেঁদে ওঠায় লালবাজারের দরজায় ঠকঠক করে কড়া নাড়তে যাচ্ছে সিপিএম বলে খবর।

ঠিক কী করতে চাইছে সিপিএম?‌ সূত্রের খবর, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই আইএসএফ বিধায়কের জন্য লালবাজারে সিপিএমের দূত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মহম্মদ সেলিম দূত হিসাবে যাচ্ছেন না। আজ, মঙ্গলবার দুপুরে লালবাজারে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দূত হিসাবে দেখা করতে পারেন সুজন চক্রবর্তী। যদিও পুলিশ কমিশনার দেখা করবেন কিনা সেটা লালবাজারের সবুজ সংকেতের উপর নির্ভর করছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আইএসএফ নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মহম্মদ সেলিম মুখর ছিলেন ভোটপরবর্তী সময়ে। জেলা সম্মেলনগুলিতেও তখন ঝড় উঠেছিল। তাই হয়তো সেলিম নিজে যাচ্ছেন না। দূত পাঠানো হচ্ছে। আর নৌশাদের জন্য সেলিম গেলে অঙ্ক তৈরি হতে পারে। কিন্তু সুজন গেলে সেটা হবে না। এইসব সাত–পাঁচ ভেবেই সুজনকে দূত হিসাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাজ্য সিপিএম নৌশাদ–সহ আইএসএফ কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেছে। তবে রাস্তায় নেমে এখনও কিছু করেনি। শোনা যাচ্ছে, বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা পথে নামবেন। কিন্তু লালবাজারে গিয়ে দরজায় কড়া নাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুজন চক্রবর্তীকে পাঠিয়ে আলিমুদ্দিন হয়তো ফুরফুরা শরিফকেও পাশে থাকার বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে সিপিএমের দূত লালবাজারের দুয়ারে পৌঁছলে পুলিশ কি করে সেটাই এখন দেখার।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup