BBC Documentary on Modi: মোদীকে নিয়ে BBC-র তথ্যচিত্র দেখানো হবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে, উদ্যোগে SFI

গোটা দেশে মোদীকে নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। সেই মতো কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিজদ্যালয়েও এই ডকুমেন্টারি দেখানো হবে বলে ঘোষণা করল এসএফআই। বাম ছাত্র সংগঠন জানিয়েছে, ২৭ জানুয়ারি বিকেল ৪টের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তৈরি ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ দেখানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদদ্যালেয়র এসএফআই জানিয়েছে যে ক্যাম্পাসে ব্যাডমিন্টন কোর্ট বুক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি ইমেল পাঠিয়েছে। সেখানেই ডকুমেন্টারিটি একটি বিশাল স্ক্রিনে দেখানোর উদ্যোগ নেবে তারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এখনও সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি। (আরও পড়ুন: ভারত-পাক পরমাণু যুদ্ধের প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেটের)

এর আগে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনিতেই জেএনইউ কর্তৃপক্ষ এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি। এই আবহে যেখানে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছিল, সেই ব্লকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এদিকে এভিবিপি সদস্যরা পাথর ছোড়ে বলেও অভিযোগ ওঠে। যদিও পাথর ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লি) মনোজ সি দাবি করেন, ক্যাম্পাসে পাথর ছোড়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাঁর কথায়, ‘আমি বলছি, আমাদের কাছে এখনও এরকম কোনও তথ্য আসেনি।’ তবে ক্যাম্পাসের মধ্যে সাদা পোশাকে পুলিশ ঘোরার যে অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়ারা, সে বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

এদিকে দক্ষিণ ভারতের কেরলেও এই তথ্যচিত্র নিয়ে ধুন্ধুমার বেঁধেছিল গতকাল। মঙ্গলবার কেরলের রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমে এই তথ্যচিত্র দেখানোর জন্য পৃথক ভাবে উদ্যোগ নিয়েছিল বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবং কংগ্রেস। তবে এই তথ্যচিত্র যাতে দেখানো না হয় তার জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। এমনকী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তাতে গোটা এলাকায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পরে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে কেরল পুলিশ।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ইউটিউব এবং টুইটারকে বিবিসি’‌র তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তুলে নিতে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। আইটি রুলস ২০২১ সালের জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো টুইট তুলে নেওয়ার জন্যও কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক নির্দেশ দেয়। বিরোধী দলের নেতারা একে ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন। এই বিতর্কের মধ্যেই এবার কলকাতাতেও প্রদর্শিত হতে চলেছে মোদীর ওপর তৈরি বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup