India-Pak Nuclear War: ভারত-পাক পরমাণু যুদ্ধের প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেটের

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। সেই হামলার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়ে ৩০০ জঙ্গি খতম করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এই গোটা সময়কালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল বলে দাবি করলেন প্রাক্তন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও। তিনি দাবি করেন, সেই সময় আমেরিকা ভারত ও পাকিস্তানকে আলাদা আলাদা ভাবে বুঝিয়েছিল যে কোনও দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে না। (আরও পড়ুন: নেতাজিকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ সম্বোধন গুজরাটের বিজেপি বিধায়কের, পরে দিলেন কোন সাফাই?)

নিজের নতুব বইতে মাইক পম্নেও দাবি করেন, পুলওয়ামা হামলার সময় ভিয়েতনাম সফরে ছিলেন পম্পেও। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে পড়েছিল যে গভীর রাতে তাঁকে ঘুত থেকে তোলা হয়েছিল। ভারতের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তখন কথা বলেন পম্পেও। মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টারও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চাপা উত্তেজনা দূর করার কাজ করছিলেন এই সময়। নিজের বইতে পম্পেও লেখেন, ‘আমি মনে করি না বিশ্ব সঠিকভাবে জানে যে ভারত ও পাকিস্তান মধ্যকার শত্রুতা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পারমাণবিক দাবানলে পরিণত হয়ে গিয়েছিল প্রায়। আমি জানি, সেই যুদ্ধের সম্ভাবনা খুব কাছাকাছি ছিল।’ এদিকে পম্পেওর নতুন বই নিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনের আসনে পড়ে ব্যবহৃত কন্ডোম, ভাইরাল ছবিতে গা ঘিনঘিন করে উঠবে

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে একটি বৈঠকের জন্য তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিয়েতনামের হ্যানোয়ে ছিলেন পুলওয়ামা হামলার সময়। সেই সময় ট্রাম্পের সঙ্গী ছিলেন মাইক পম্পেও। এই নিয়ে পম্পেও লেখেন, ‘ভিয়েতনামের হ্যানয়ে ছিলাম তখন। সেই রাতটি আমি কখনই ভুলতে পারব। ​​পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনা করা যেন যথেষ্ট ছিল না – কয়েক দশক ধরে চলে আসা কাশ্মীরের সীমান্ত বিরোধের কারণে ভারত ও পাকিস্তান একে অপরকে হুমকি দিতে শুরু করে। পাকিস্তানের দুর্বল সন্ত্রাস বিরোধী নীতির কারণেই হয়ত পুলওয়ামাতে ইসলামিক জঙ্গি হামলা হয়েছিল। এরপর ভারত এয়ারস্ট্রাইক করে। জবাবে পাকিস্তান ডগফাইটে একটি ভারতীয় বিমানকে ধ্বংস করে। আমার বিশ্বাস, সেই সময়য় পাকিস্তান একটি পারমাণিক হামলার জন্য তৈরি হচ্ছিল। দিল্লিও জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল। আমি তাঁকে (সম্ভবত অজিত ডোভাল) বলি, আমাকে কিছুটা সময় দাও, আমি দেখছি বিষয়টা। এরপর আমি পাকিস্তানের আসল নেতা, সেনা প্রধান জেনারেল কামার বাজওয়ার সঙ্গে কথা বলি। তিনি দাবি করেন, ভারতের দাবি সঠিক নয়। এদিকে বাজওয়া বিশ্বাস করছিলেন যে ভারত পরমাণু হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ এই গোটা পর্বে ভারতে নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেন জেস্টার দুর্দান্ত কাজ করেছিলেন বলে দাবি করেন পম্পেও। তিনি বলেন, ‘কেজ জেস্টার ভারত এবং ভারতীয়দের ভালোবাসে। সেই সময় তাঁকে দলে পাওয়ায় আমি ভাগ্যবান ছিলাম।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup