শাহেদ আলী যখন ষাটোর্ধ্ব আধখোঁড়া কানু

চট্টগ্রাম কাপ্তাই অঞ্চলের বনফুল গেস্ট হাউজের ষাটোর্ধ্ব কেয়ারটেকার কানু। যিনি চার দশক ধরে এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন সততার সঙ্গে। যদিও কাপ্তাইজুড়ে তার জীবনে হতাশার গল্পও কম নয়। যে হতাশায় খানিক আলো পড়লো গেস্ট হাউজে আগত রেজা-মিলি দম্পতির মাধ্যমে।

এমনই এক প্রেম ও রহস্যময় গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘বনফুল’। এতে কানু চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওটিটি’র একাধিক কনটেন্টে দারুণ প্রশংসিত শাহেদ আলী। গল্পটি মূলত তাকে ঘিরেই, তবে ডালপালা ছড়ায় রেজা-মিলি চরিত্রের ইমতিয়াজ বর্ষণ ও নাজিয়া হক অর্ষার মাধ্যমে।

পুরো নাটকটির শুটিং হয় গল্পের সূত্র ধরেই কাপ্তাই এলাকার পাহাড়-হ্রদের ঐশ্বরিক শুভ্রতার মাঝে। এতে কেয়ারটেকার কানু চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে চেহারা ও সাজে আমূল বদলাতে হয় অভিনেতা শাহেদ আলীকে। নাটকটির প্রথম চমক এখানেই। এরপর গল্পের গভীরতা দর্শকদের নিয়ে যাবে রহস্যের অতলে। থাকছে গা ছমছমে ভৌতিক আবহ।

এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন পঙ্কজ চৌধুরী রনি।

বর্ষণ, অর্ষা ও শাহেদ আলী কাজটি প্রসঙ্গে শাহেদ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘একটু এক্সপেরিমেন্ট করার চেষ্টা ছিল কাজটিতে। নির্মাতা সবাইকে নিয়ে সততার সঙ্গে গল্পটা বলার চেষ্টা করেছেন। এ ধরনের কাজ ইদানীং আমি করিনি। গল্পের দাবিতে কাপ্তাই অঞ্চলে পুরো শুটিং করেছি। একাগ্রতা নিয়ে সবাই কাজটা করার চেষ্টা করেছি। এমন নিরীক্ষাধর্মী কাজ সচরাচর হয় না।’

অভিনেতা জানান, এতে তাকে যেমন দেখা যাবে যুবক বয়সে, তেমনি ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের চরিত্রেও।

‘বনফুল’ সম্প্রচার হবে ২৭ জানুয়ারি রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনে। কানু চরিত্রে শাহেদ আলী