এই বয়সে হাতেখড়ির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন বিমানের, মুগ্ধ তথাগত

রাজ্যপালের আমন্ত্রণে সরস্বতী পুজোর বিকেলে রাজভবনে হাজির হয়েছিলেন রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট বিষ্টুরা। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। ছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়ও। অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেও নানা মুনির নানা মত।

রাজভবনের এদিনের অনুষ্ঠানে ‘মুগ্ধ’ তথাগত রায়। মেঘালয় ও ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল বলেন, ‘বিজেপি নেতৃত্বের বাধ্যবাধকতা আছে বলে বোধ হয় আসেনি। আমার সঙ্গে দলের তেমন সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ কর্মী মাত্র। তাই রাজ্যপালের আমন্ত্রণে এসেছি। এখানে একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হল। বাংলা ও মলয়ালি সংস্কৃতির অপরূপ মেলবন্ধন দেখতে পেলাম।’

অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেও ‘হাতে খড়ি’র প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিমানবাবু। তিনি বলেন, ‘এই বয়সে হাতে খড়ির মানে কী? এমন বিষয় এড়িয়ে গেলেই ভালো হত।’ অনুষ্ঠানে হাজির না থাকলেও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেন, ‘কখনো শুনেছেন, একজনের একবার বাংলায় একবার ইংরাজিতে হাতে খড়ি হচ্ছে? আমার আপনার হয়েছে? রাজ্যপাল জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে হাতে খড়ি নিলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার চিত্রটা পরিষ্কার বুঝতে পারতেন।’

ওদিকে রাজভবনে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার জন্য বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্তের আক্রমণের মুখে পড়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। স্বপনবাবু বলেন, ‘রাজভবনে তৃণমূলের পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনে এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ছিলেন একাধিক সাংসদ, বিধায়ক ও গুণীজনেরা। তাদের সামনেই রাজ্যপালকে হাতে খড়ি দেয় একটি বালিকা। এর পর মঞ্চে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে রাজ্যপালকে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনী দিতে শোনা যায়।