নওশাদের পুলিশ হেফাজত, ‘হারের ভয়ে চক্রান্ত,’ দাবি বিধায়কের, পালটা ফিরহাদ

ভাঙরের বিধায়ক নওশাল সিদ্দিকী। শুক্রবার  বারুইপুর আদালতে তোলা হলে ফের নওশাদকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হল। তবে এদিন ফের রাজ্য়ের শাসকদলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন নওশাল। অন্যদিকে এদিনও নওশাদ অনুগামীরা তাঁর মুক্তির দাবিতে সরব হন। এদিন কোর্টে প্রবেশের সময় এদিন নওশাদ জানিয়ে দেন,  সামনেই পঞ্চায়েত ভোট।  সেই কারণেই পরিকল্পনা করে আটকে রাখা হচ্ছে। এদিকে সূত্রের খবর, আদালতেও নওশাদ দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হচ্ছে।

এদিকে এদিনই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে পাশে বসিয়ে নওশাদকে একহাত নেন। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদাদের প্রতি সম্মান রয়েছে। কিন্তু নওশাদ সিদ্দিকী যা করেছেন তা অন্যায়। নওশাদের দল বিজেপির বি টিম হিসাবে কাজ করছে বলেও তীব্র কটাক্ষ করেন ফিরহাদ।  তাঁর প্রশ্ন, নওশাদের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন কীভাবে হল? আমরা তো জানতাম সিপিএমের সঙ্গে তাদের সমঝোতা ছিল। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা কীসের স্বার্থে? বিজেপি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাঁর চ্যাট কীসের স্বার্থে? প্রশ্ন ফিরহাদের। 

এদিকে নওশাদ অবশ্য এদিন আদালতে প্রবেশের মুখে সাফ জানিয়ে দেন, শাসকদলের ভোট ব্যাঙ্ক নষ্ট হচ্ছে বলেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন, গরিব মানুষের এই লড়াই চলবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে হারের ভয়ে আটকে রাখার চেষ্টা চলছে। এর সঙ্গে আইএসএফ বিধায়কের দাবি, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

এদিকে নওশাদকে গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও আইএসএফ একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে। নওশাদ একদিকে যেমন শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে পালটা তৃণমূল তাঁর দলকে বিজেপির বি টিম হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে ২১ জানুয়ারি ছিল আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস। কলকাতায় বিশেষ কর্মসূচি ছিল তাঁদের। সেদিন কলকাতার রাজপথে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সহ নানা বিষয়ে অভিযোগ তুলে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। আর সেদিনই নওশাদ সহ ১৯জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁদের মধ্য়ে থাকা এক নাবালকের জামিন হয়ে গিয়েছে। এদিকে ভাঙরের হাতিশালায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, তৃণমূল কর্মীদের মারধর,এলাকায় অশান্তি তৈরির অভিযোগ উঠেছিল নওশাদের বিরুদ্ধে। নওশাদক এদিন বারুইপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে ফের তাঁকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হল।