পঞ্চায়েতের ব্যালট বক্সে থাকবে QR কোড, বাক্স বদল করলেই চেপে ধরবে কমিশন

পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার জন্য এবার ব্যালট বক্সে বড় পরিবর্তন আনছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মনে করা হচ্ছে এবার ব্যালট বক্সেই ভোট হতে পারে। সেই নিরিখে এবার প্রতিটি ব্যালট বক্সের সঙ্গে কিউ আর কোড সংযুক্ত করা থাকবে। সেই কিউ আর কোড নির্দিষ্ট পোর্টালে লেখা থাকবে। এই ধরনের কিউ আর কোড যুক্ত বাক্স জেলাস্তরে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু কেন এই ব্যবস্থা?

আসলে পঞ্চায়েত ভোটে ব্যালট বাক্সে বদলের অভিযোগ উঠেছিল এর আগে। আর সেই অভিযোগ যাতে আর না ওঠে সেটাই নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। কিউ আর কোড থাকবে কেন ওই ব্যালট বক্সে? কিউ আর কোড স্ক্যান করলেই ওই ব্যালট বক্স সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য় জানা যাবে। এর জেরে কোন বুথে কোন ব্যালট বক্স গিয়েছে তা পুরোটাই জানা যাবে।

জলপাইগুড়িতে ইতিমধ্য়েই এই ধরনের ব্যালট বাক্স আসতে শুরু করেছে। নতুন ব্যালট বক্সগুলিতে সাধারণত কিউ আর কোড সংযুক্ত করা থাকছে। তবে জেলায় জেলায় কিছু পুরানো ব্য়ালট বক্স এখনও থেকে গিয়েছে। কিন্তু সেগুলিতেও কিউআর কোড সংযুক্ত করা হচ্ছে। সেকারণে সেখানেও কিউ আর কোড সংযুক্ত করা হবে। কোন বুথে কোন ধরনের ব্যালট বক্স ছিল, সেটা এই কিউ আর কোডের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা যাবে। সেক্ষেত্রে কিউ আর কোড স্ক্যান করলেই জানা যাবে ব্যালট বক্স বদল করা হয়েছে কি না। কিন্তু বিরোধীরা ইতিমধ্যেই এনিয়ে নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

বিরোধীদের আশঙ্কা, এবারের ভোটে সন্ত্রাসের আশঙ্কা প্রবল। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ভোটদানটা আগে নিশ্চিত করা দরকার। ২০১৮ সালের নির্বাচনের ভয়াবহ সন্ত্রাসের কথা এখনও অনেকের মনে আছে। সেটার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয়। 

তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের একাংশের দাবি রাজ্য়ের পঞ্চায়েত ভোট কতটা সন্ত্রাসমুক্ত হবে তা নিয়ে সংশয়টা বিভিন্ন মহলেই রয়েছে। ব্যালট বক্সে কিউ আর কোড বসিয়ে ভোটে কতটা স্বচ্ছতা আসবে তা নিয়েও নানা সংশয় রয়েছে।

এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক দলগুলি ঘর গোছাতে শুরু করেছে। বিভিন্ন এলাকায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা। ভোট যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয় সেই দাবি বার বার তুলছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা।