Abhishek Banerjee: কেশপুরের পথে ফের গ্রামে অভিষেক, সমস্য়া শুনলেন, সমাধান চাইলেন মন্ত্রীর কাছে

কাঁথির পুনরাবৃত্তি। কেশপুরে সভায় যাওয়ার মাঝে পথে নেমে গ্রামে ঢুকে পড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বললেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে শুনলেন তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা। মোবাইলে নোট নিলেন। দলের সহকর্মী তথা সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করে সমস্যা সমাধানে আর্জি জানেলেন।

কেশপুরে যাওয়ার পথে এনিকেট গ্রাম পঞ্চায়েতের জিনশহর গ্রামে নেমে পড়েন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। অধিকাংশ গ্রামবাসী তাঁকে জানান, জমির পাট্টা পাননি তাঁরা। গ্রাম থেকে তিনি সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন। সেচমন্ত্রীকে তিনি পাট্টা সমস্যার কথা জানান। সেচমন্ত্রী তাঁকে জানান তাঁর অপারেশন হয়েছে। তিনি বিশ্রামে রয়েছেন। তখন অভিষেক তাঁকে বলেন,’হ্যাঁ আমি জানি আপনার অপারেশন হয়েছে। তুব যা নিয়ম আছে দেখে এঁদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন।’

প্রসঙ্গত, একই দৃশ্য দেখা যায় কাঁথি জনসভায় যাওয়ার সময়। তিনি মরিশদার কাছে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ শোনেন। তাঁদের অভিযোগের তির ছিল গ্রাম পঞ্চায়েত ও উপপ্রধানের দিকে। পরে সভা গিয়ে তাঁদের ইস্তফা দিতে নির্দেশ দেন অভিষেক।

এদিন অভিষেকের কপ্টারে কেশপুরের সভায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি মত বদলে গাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত শুনেই উৎকণ্ঠায় পড়েন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তাঁরা বুঝতে পারেন ফের গ্রামে যাবেন অভিষেক। আবারও না কাউকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। কিন্তু এদিন সরসারি কেউ অভিষেকে কোপে পড়েননি। তবে মঞ্চ থেকে তাঁরা বার্তা ছিল, দল সব দেখছে। কাজ না করলে সরিয়ে দেওয়া হবে।

এবারও তাঁর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে সভার আগে স্থানীয় প্রশাসন কিছুটা ভীত ছিলেন। প্রথমে অভিষেকের কপ্টারে যাওয়ার কথা ছিল সভাস্থলে। কিন্তু পরে মতবদল করে তিনি সড়কপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই আশঙ্কা ঘনিয়ে আসে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে। সকলেই ভাবতে থাকেন, আবার গ্রাম পরিদর্শনে নামলে অভিষেকের ‘শাস্তি’র মুখে না পড়তে হয় কাউকে।