Pervez Musharraf: ধোনির সোনালি চুলে মজেছিলেন, আদ্যোপান্ত ক্রিকেটপ্রেমী ছিলেন প্রয়াত মুশারফ

<p style="text-align: justify;"><strong>করাচি:</strong> সালটা ২০০৬। তখনও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজিত হত। <a title="ভারতীয় দল" href="https://bengali.abplive.com/topic/indian-cricket-team" data-type="interlinkingkeywords">ভারতীয় দল</a> সেবার পাকিস্তানের গিয়েছিল। দলে ছিলেন তরুণ উইকেট কিপার ব্যাটার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধোনি পা রেখেছেন এক বছর হয়েছে তখন। তবে তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তাঁর সোনালি লম্বা চুলও বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। ধোনির সেই হেয়ারকাট পছন্দ হয়েছিল প্রয়াত প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী পারভেজ মুশারফের। লাহোরে গদ্দাফি স্টেডিয়ামে সেই সিরিজে ম্যাচ দেখতে এসে ধোনির চুলের প্রশংসা করেছিলেন তিনি।&nbsp;</p>
<p style="text-align: justify;">মুশারফ বলেছিলেন, ”আমি একটা পোস্টার দেখেছি। সেখানে তোমার চুল কাটিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। যদি আমার পরামর্শ নাও তা হলে বলব, তুমি চুল কাটিয়ে ফেলো না। এই রকম চুলে তোমাকে বেশ ভাল দেখতে লাগে।” সেই ম্যাচে ৪৬ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ধোনি। নিজের ইনিংসে ১৩টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। মূলত ধোনির ৭২ ও যুবরাজের ৭৯ রানের ইনিংসের ওপর ভর করেই পাকিস্তানের দেওয়া ২৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া।&nbsp;</p>
<p style="text-align: justify;">দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভোগার পর আজ দুবাইয়ের প্রয়াত হন পারভেজ মুশারফ। বরবারই ক্রিকেট পাগল ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের আমন্ত্রণে ভারতের ২০০৫ সালে ম্যাচ দেখতেও এসেছিলেন।&nbsp;</p>
<p style="text-align: justify;"><strong>কার্গিল যুদ্ধ ও মুশারফ</strong>&nbsp;…<br />সালটা ১৯৯৮। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সেনাবাহিনীর প্রধান পদে নিয়োগ করলেন পারভেজ মুশারফকে। যদিও সেই নিয়োগ বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। শোনা যায়, দুই সিনিয়রকে টপকে ফোর স্টার জেনারেল হয়েছিলেন মুশারফ। কেন? কোন অদৃশ্য হাত ছিল তাঁর নেপথ্যে? খোঁজ করতে গেলে অনেক তত্ত্ব ও তথ্য বেরিয়ে আসে। তবে আজকের মতো শুধু ওই ঘটনাকে সময়ের একটা বড় মাপকাঠি ধরে নিয়ে এগোনো যাক।&nbsp; কারণ, এর পরের বছরই ধুন্ধুমার বাঁধবে ভারত-পাক সীমান্তে। নাম? কার্গিল যুদ্ধ। শোনা যায়, সেই বছর মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত জেনারেল মুশারফের নির্দেশেই পাক সেনার নর্দার্ন লাইট ইনফ্যান্ট্রির সদস্যরা অনুপ্রবেশ করে জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিল সেক্টরের একাধিক স্ট্র্যাটেজিক পোস্ট দখল করে নেন। টের পেতেই ‘অপারেশন বিজয়’ শুরু করে বাজপেয়ীর ভারত। বাকিটা বেশ কিছুটা জানা। পাকিস্তানি সেনার হাত থেকে ফের অধিকৃত এলাকাগুলির দখল ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় সেনা। কিন্তু এই যুদ্ধ কতটা জরুরি ছিল? আঙুল ওঠে জেনারেল পারভেজ মুশারফের দিকে। উপমহাদেশ তো বটেই, আন্তর্জাতিক মঞ্চের বড় অংশ এই যুদ্ধের মূল চিত্রনাট্যকার ও কারিগর হিসেবে দায়ী করে জেনারেল মুশারফকে।</p>
<p style="text-align: justify;">&nbsp;</p>
<p style="text-align: justify;">&nbsp;</p>