কাঁকড়া ধরতে গিয়ে সুন্দরবনে বাঘের হামলায় মৎস্যজীবীর মৃত্যু

কাঁকড়া ধরতে গিয়ে সুন্দরবনের বাঘের হামলায় মৃত্যু হল আরও ১ মৎস্যজীবীর। সোমবার কলকাতার SSKM হাসপাতালে মৃত্যু হয় সঞ্জয় চক্রবর্তী নামে ওই ব্যক্তির। তিনি মৈপিঠের নগানাবাদ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আরও ২ মৎস্যজীবীর সঙ্গে কাঁকড়া ধরতে বেরিয়েছিলেন সঞ্জয়বাবু। শনিবার কাঁকড়া ধরার সময় তাঁর ওপর একটি বাঘ হামলা চালায়। গভীর রাতে তাঁকে মৈপিঠে নিয়ে আসেন বাকি ২ সঙ্গী। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার তাঁকে SSKM-এ স্থানান্তর করেন বাড়ির লোকেরা। সোমবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

সঞ্জয়বাবুর সঙ্গী এক মৎস্যজীবী জানান, জঙ্গলের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাঘ নৌকার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সঞ্জয়ের ওপর হামলা করে সে। এর পর সঞ্জয়কে নৌকা থেকে টেনে নামিয়ে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে প্রাণীটি। আমরা লাঠি, বৈঠা দিয়ে মেরে কোনওক্রমে ওকে ছাড়িয়ে এনেছি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

সুন্দরবন ব্যঘ্র প্রকল্পের অতিরিক্ত ফিল্ড ডায়রেক্টর সৌমেন মণ্ডল বলেন, ‘যে জায়গায় বাঘের হামলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সেখানে সাধারণ মানুষের যাওয়ার অনুমতি নেই। বিধি ভেঙে সেখানে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা।’

সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ রুজি রুটির জন্য এখনো বনজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। যার জেরে প্রতি বছরই বাঘের হামলায় মৃত্যু হয় বহু মৎস্যজীবীর। সরকারি নানা প্রকল্প সত্বেও জঙ্গলের ওপর জনজীবনের নির্ভরশীলতা কিছুমাত্র কমেনি। জল – জঙ্গলের জীবনে জীবন – মরণের খেলাকেই ভবিতব্য বলে মেনে বেঁচে আছেন কয়েক লক্ষ মানুষ।